জয়তুন ফলের ১৫টি উপকারিতা - জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় টপিকে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে জয়তুন ফলের উপকারিতা। আপনারা হয়তো অনেকেই জয়তুন ফলের নাম শুনেছেন কিন্তু এই ফলের পুষ্টিগুন এবং বা উপকারিতা সম্পর্কে অবগত নন। আপনি কি জয়তুন ফলের উপকারিতা জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এই পোষ্টে আমরা জয়তুন ফলের ১৫টি উপকারিতাসহ এই ফল নিয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ যাবতীয় তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
জয়তুন ফলের ১৫টি উপকারিতা - জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম

আপনি যদি আমাদের পোষ্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকেন, তাহলে জয়তুন ফলের ১৫টি উপকারিতা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি জয়তুন ফলের আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে পারবেন। যেগুলো তথ্য পরবর্তীতে আপনার অনেক কাজে আসবে বলে আমার আশাবাদী। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে শেষ অবদি পড়তে থাকুন। আসুন তাহলে আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো একজনর পোষ্ট সূচিপত্রতে দেখে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা

পবিত্র আল কোরআনে মূলত যেসব ফলের উল্লেখ রয়েছে সেগুলো ফল নিঃসন্দেহে কল্যানকর ও বরকতময়। অনেক মুমিনরা এর ব্যতিক্রম সহজে বিশ্বাস করতে পারে না। পবিত্র আল কোরআনে মোট ৭ জায়গায় যে ফলের নাম এসেছে তার নাম হচ্ছে যইতুন। যইতুন কম বেশি সবার কাছেই বরকতময় ফল হিসেবে পরিচিত।

তাই এই বরকতময়  ফল ব্যবহারের আগে এর উপকারিতা, জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম, জয়তুন তেলের উপকারিতা, জয়তুন ফলের দাম সহ এর পুষ্টি গুনাগুন সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা খুবই জরুরী। তাহলে আসুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আপনার মূল্যবান সময়টুকু কাজে লাগিয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। আমরা প্রথমে জয়তুন ফলের পুষ্টির উপাদান সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিব।

জয়তুন ফলের পুষ্টি উপাদান

জয়তুন গাছ ও ফলের পরিচিত অনেকেই জানতে চায় তাই পোষ্টের এই অংশে এর পরিচিত তুলে ধরেছি। জয়তুন গাছ মূলত ৮ থেকে ১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এবং এর পাতা ৪ থেকে ১০ সে.মি. লম্বা ও ১ থেকে ৩ সে.মি. প্রশস্ত হয়ে থাকে। অন্যদিকে জয়তুন ফল ছোট আকৃতির হয়ে থাকে লম্বায় মাত্র ১ থেকে ২.৫ সে.মি. লম্বা হয়ে থাকে।

এই জয়তুন ফলের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ উপাদান এবং পুষ্টিকর উপাদানগুলো আর এই উপাদান গুলো হলো যেমন-
  • আয়রন
  • এন্টি-অক্সিডেন্ট
  • ক্যালসিয়াম
  • আয়োডিন
  • পটাশিয়াম
  • সোডিয়াম
  • ফসফরাস ইত্যাদি।
এছাড়াও আমাদের শরীরে যে সকল ভিটামিন অনেক বেশি প্রয়োজন পড়ে দরকার এবং যে সকল উপাদানগুলো শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সহায়তা করে তার সব উপাদান এই জয়তুন ফলের মধ্যে মহান আল্লাহ তা'আলা ভরপুর দিয়ে দিয়েছেন। আশা করছি জয়তুন ফলের পুষ্টি উপাদান গুলো জানতে পেরেছেন। এবার চলুন জয়তুন ফলের কার্যকরী ১৫টি উপকারিতা জেনে নেই।

জয়তুন ফলের ১৫টি উপকারিতা

জয়তুন ফলের প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে যেটা হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। তবে আমরা এই ফলের কার্যকরী মোট ১৫ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।  আপনি যদি নিয়মিত যতদিন ফল খান তাহলে অবশ্যই নিম্নলিখিত উপকারিতা গুলো পাবেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধে:বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে এই ফল বেশ কার্যকরী হতে পারে। আপনি যদি  ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে চান তাহলে জয়তুন ফলের তেল এবং জয়তুন ফল নিয়মিত খেতে হবে। তাহলে ইনশাল্লাহ ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়ে যাবে।

ওজন কমায়: যেসব ব্যক্তিদের শরীরের ওজন তুলনামূলক অনেক বেশি তারা চাইলে ওজন কমানোর জন্য জয়তুন ফল ডায়েট খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। তাহলে খেয়াল করবেন আপনার শরীরের ওজন অনেকটাই কমে গেছে। তবে ওজন কমানো যাবে বলে পরিমাণে খুব বেশি খাওয়া যাবেনা পরিমাণ মতো খাবেন তাহলেই এর উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন।
খুশকি দূর করে: বর্তমানে মাথায় খুশকি নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই চিন্তিত। অনেকেই মাথার খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই মাথার খুশকি ভালো করতে জয়তুন ফলের তেল বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি  নিয়মিত জয়তুন ফলের তেল মাথায় ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন মাথার খুশকি পুরোপুরি ভালো না হলেও অনেকটাই কমে গেছে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: বর্তমানে আমাদের মধ্যে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যেতায় ভুগছেন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করেন কিন্তু আপনি চাইলে জয়তুন ফলকে বেছে নিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কার্যকরী উপায় হিসেবে অবলম্বন করতে পারেন।

হৃদরোগ নিরাময় করে: বর্তমানে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। আপনার যদি হৃদরোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে প্রথমে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি চাইলে জয়তুন ফল খেতে পারেন এতে ভালো উপকারিতা পাবেন।

ত্বকের বয়সের ভাজ পড়া কমায়: বর্তমানে বিভিন্ন কারণবশত অনেকের কম বয়সেই ত্বকের মধ্যে বেশি বয়সের ভাঁজ পড়ে যায়। যার ফলে অনেকেই বিভিন্ন দুশ্চিন্তাই ভোগেন এবং তাদের মধ্যে একটি খারাপ লাগার কাজ করে। এই সমস্যা যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত জইতুন ফল আশা করছি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় না হলেও কিছুটা উন্নতি অবশ্যই হবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: আমরা সকলেই যাতে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট না হয়।, প্রত্যেকেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চাই। তবে অনেকের ত্বকের উজ্জ্বলতা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যায় এতে দেখতে অনেক খারাপ লাগে। তাই আপনি যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত নতুন ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এতে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

ত্বক শুষ্কতা রোধ করে: অনেকের নানান কারণে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় ফেটে যায় বা শুষ্ক হয়ে যায়। এজন্য আমরা প্রচুর টাকা খরচ করে বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করি। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন ফলের তেল ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগ খুবই পরিচিত একটি সমস্যা। বিশেষ করে যাদের বয়স একটু বেশি হয়ে যায় তাদের ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রন করাটা খুবই কঠিন হয়ে যায়। এই  ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে রেহাই বা এটি নিয়ন্ত্রণ করতে জয়তুন ফল বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত জয়তুন ফলে খেতে পারেন তাহলে আশা করছি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে: অতিরিক্ত রাত জেগে পড়াশোনার কারণে কিংবা তার জেগে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। তখন দেখতে কিন্তু খুবই খারাপ লাগে, চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে চাইলে আপনাকে জয়তুন ফলের তেল নিয়মিত চোখের কালো দাগের স্থানে ভালভাবে মালিশ করে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

রক্তশূন্যতা দূর করে: বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ রক্তশূন্যতায় ভুগেন বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা এ সময়ে রক্তশূন্যতায় ভোগেন। রক্তশূন্যতা দূর করতে চাইলে জয়তুন ফল পরিমাণ অনুযায়ী নিয়মিত খেতে হবে।

চুলের যত্নে জয়তুন: জয়তুন ফল থেকে তৈরি তেল চুলের জন্য অনেক উপকারী। কারন এই তেলে রয়েছেপর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই যা আমাদের চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে থাকে।

রক্তচাপ দূর করে: বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ রক্তচাপ নিয়ে টেনশনে থাকেন। আপনি জানলে হয়ত অবাক হবে যে এই জয়তুন ফল  রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি চাইলে রক্তচাপ কমাতে জয়তুন ফল নিয়মিত খেতে পারেন।

টিউমার রোধ করে: জটিল ধরনের যেকোন ধরণের টিউমারের ক্ষেত্রে এই জয়তুন ফল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই টিউমার রোধ করতে চাইলে নিয়মিত জয়তুন ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ফাইবার: জয়তুন ফল সে ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও ফাইবার রয়েছে যার ফলে আমাদের দেহের বিভিন্ন কার্যকরী উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম

জয়তুন ফল নিয়ে অধিকাংশ মানুষের ভিতরে নানান ধরনের প্রশ্ন জাগে।  তার মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন হচ্ছে জয়তুন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি বা এই ফল কিভাবে খেতে হয়? চলুন তাহলে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নি। অনেকেই আছেন যারা এই ফল অন্যান্য ফলের মত সরাসরি খেতে পারেন না।
সরাসরি ফলটি খেতে না পারলে হালকা উষ্ণ গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে একটা বিষয় সচেতন থাকতে হবে সেটা হচ্ছে খালি পেটে এই ফল খাওয়া যাবে না। এছাড়া পরিমাণে বেশি এই ফল খাওয়া যাবে না কারণ পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে অনিদ্রা এবং প্রচন্ড মাথাব্যথা সমস্যা হতে পারে।

আপনি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২টি জয়তুন ফল খেতে পারেন এর বেশি খাবেন না। তাহলে আশা করছি আপনি এতক্ষণে জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। এবার চলুন ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম জেনে নেই।

ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম

বাজারে ত্বীন ও জয়তুন ফলের তেল একসাথে পাওয়া যায়। এছাড়াও অনেকেই বেশি উপকার পাওয়ার জন্যে ত্বীন ও জয়তুন ফল একসাথে খেয়ে থাকেন। তাই আর্টিকেলের এই পর্যায়ে আপনাদের জানাবো ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৭ দিন ১ টেবিল চা চামচ পরিমাণ তেল নিয়ে শরীরে লাগিয়ে নিতে হবে তাহলে দেখবেন খুব দ্রুত উপকার পাবেন।
  • মা বোনেরা শিশু জন্ম দেওয়ার পর তাদের পেটে বিভিন্ন ধরনের সাদা বা কালচে দাগ দেখা দেয়। য়াপনি এই দাগের ওপর ত্বীন ও জয়তুনের তেল নিয়মিত ভালোভাবে মালিশ করতে পারেন তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে দাগ গুলো সম্পূর্ণ উঠে গেছে।
  • সাধারণত ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম এখন পর্যন্ত সেভাবে পরীক্ষিত বা পরীক্ষামূলক নিয়ম পাওয়া যায়নি। তাই অন্যান্য ফল আপনারা যেভাবে খেয়ে থাকেন ত্বীন ও জয়তুন ফল আপনি সেভাবে খেতে পারবেন।
তবে ত্বীন ও জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাবে যদি মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া সভব হয় তাহলে। সামান্য পরিমাণ মধুর সাথে এই ফল মিশিয়ে ভিজিয়ে কিছুক্ষন রেখে দিবেন এর পরে খেয়ে নিবেন। এছাড়াও দুধের সাথে মিশিয়েও এই ফল খাওয়া যায়। এতেও বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এটা শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।

জয়তুন ফলের দাম কত

সাধারণত বাংলাদেশের বাজারে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফল দেখে থাকি কিন্তু এই জয়তুন ফল খুব কমই আমাদের চোখে ধরে। কারণ এটি বাংলাদেশে খুব কম উৎপাদন হয়। এই ফলের দাম কত সেটি অনেক মানুষেরই অজানা। তাই চলুন জেনে নিই জয়তুন ফলের দাম।
মূলত জয়তুন ফল বেশিরভাগ বিদেশ থেকে আমদানি হয় যার দাম ৩৫০ গ্রাম কৌটার মূল্য ৩০০-৩৫০ টাকা। আর এই ফল যেই দেশ থেকে আমদানি করা হোক না কেন আপনি মোটামুটি ৪০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। আশা করছি এই ফলের দাম জানতে পেরেছেন।

জয়তুন ও জলপাই কি এক?

জলপাই এবং জয়তুন ফল দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রজাতি, ভিন্ন জাত, ভিন্ন সত্তার, তবে এদের আশ্চর্যজনক কিছু মিল প্রায়শই অপরিলক্ষিত হয়। জলপাই এবং জয়তুন ফল উভয়ই ড্রুপের বোটানিক্যাল (Drupe botanical) পরিবারের অন্তর্গত, যা তাদের একটি মাংসল স্তরের সাথে একই ধরণের গঠন রয়েছে যা বীজ ধারণকারী শক্ত পাথরের চারিদিকে বিদ্যমান থাকে।

এছাড়াও জলপাই এবং জয়তুন ফল দুটোই কিন্তু আলাদা স্বাদের অধিকারী। অলিউরোপেইনের উপস্থিতির কারণে জলপাই একটি সুস্বাদু এবং সামান্য তিক্ত স্বাদ। অপরদিকে জয়তুন বেরিগুলি সাইট্রাসি, পাইনি এবং পিপারি নোটের একটি জটিল মিশ্রণের জন্য গর্ব করে থাকে। যা মূলত লিমোনিন ও পাইনিন মতো প্রয়োজনীয় তেলের উচ্চ ঘনত্বের জন্য দায়ী।

জয়তুন ফলের ছবি

অনেকেই জয়তুন ফলের ছবি দেখেন নি বা এই ফল দেখতে কেমন সেটা হয়তো জানেন না। তাই আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে  এই অংশে কয়েকটি জয়তুন ফলের ছবি দিয়ে দিলাম। এগুলো ছবি দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে জয়তুন ফল আসলে দেখতে কেমন হয়।

জয়তুন ফল খেতে কেমন

জয়তুন ফল এক ধরনের অন্যরকম স্বাদের ফল। যা অন্যেন্য ফলের স্বাদের তুলনায় টোটালি আলাদা। আপনি হয়তো প্র্যাকটিকালি না খেলে বুঝতে পারবেন না। এই ফল খেতে না মিস্টি, না টক , না ঝাল। বলা যায় এটি খেতে তিক্ত বা কিছুটা পানসে প্রাজাতি স্বাদের ফল।

লেখকের শেষকথাঃ জয়তুন ফলের উপকারিতা

আমরা ইতিমধ্যে জয়তুন ফলের ১৫টি উপকারিতা এবং জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়মসহ এই ফল সম্পর্কে আরও প্রয়োজনীয় বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা এ বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে অবগত হতে পেরেছেন। আশা করছি এই ফল নিয়ে কোন ধরণের প্রশ্ন থাকার কথা না।

তারপরও যদি এই সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত অথবা কোন অংশ বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই সেটা আমাদের পোষ্টের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। জয়তুন তেলের উপকারিতা সম্পর্কিত আজকের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url