ciprocin 500 কিসের ওষুধ - ciprocin 500 এর কাজ কি

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আপনি কি পজিটিভ এবং নেগেটিভ উভয় প্রকার ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন? অথবা ciprocin 500 কিসের ওষুধ কিংবা ciprocin 500 এর কাজ কি সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি এখন একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ এই ট্যাবলেট এর বিষয়ে জানতে চাই। এজন্য মূলত তাদের কথা ভেবেই আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে ciprocin 500 ট্যাবলেট সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাজানোর চেষ্টা করেছি।
ciprocin 500 কিসের ওষুধ - ciprocin 500 এর কাজ কি

আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলের একেবারে শেষ পর্যন্ত থাকেন, তাহলে fciprocin 500 কিসের ওষুধ বা এই ওষু্ধের কাজ কি, সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়, সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ, খাওয়ার নিম, দাম জেনে নেওয়ায়ার পাশাপাশি সিপ্রোসিন ৫০০ ট্যাবলেট সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে এই পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। সিপ্রোসিন ৫০০ ট্যাবলেট নিয়ে আমরা এমন কিছু তথ্য প্রদান করব যার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা - ciprocin 500

সিপ্রোসিন ৫০০ মূলত এক ধরণের এন্টিবায়োটিক ঔষধ। এই ওষুধের গ্রুপের নাম হল সিপ্রোফ্লাক্সাসিন। এটি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি (Square Pharmaceuticals plc) কোম্পানির একটা ঔষধ। বর্তমানে এই ওষুধের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কারণ আমরা হয়ত সকলেই জানি যে  স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ এখন কতটা জনপ্রিয়। এইকোম্পানির ওষুধ জনপ্রিয়তা হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ওষুধ মানের দিক থেকে অনেক ভালো। ciprocin সিরাপ আকারে ও ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়।

আপনারা অনেকেই ciprocin 500 ওষুধ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নিয়ে গুগলের কাছে জানার জন্য সার্চ করে থাকেন। হয়তো এই ট্যাবলেট এর সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে এই ট্যাবলেট সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে আপনাকে একটি ক্লিয়ার ধারণা দেব যে ciprocin 500  আসলে কিসের ওষুধ বা এর কাজ কি কিংবা কাদের জন্য এই ওষুধ কার্যকরী হবে।

আবার এই ওষুধ সম্পর্কে জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে আছেন তারা এই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এই সিপ্রোসিন ট্যাবলেট সম্পর্কে জেনে নিন। তাহলে চলুন, আর আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে মূল আলোচনায় ফেরা যাক। আমরা প্রথমে নিচের অংশ থেকে ciprocin 500 কিসের ওষুধ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।

ciprocin 500 কিসের ওষুধ - ciprocin 500 bangla

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ciprocin 500 কিসের ওষুধ? মূলত ciprocin 500 ঔষধটি একটি সিন্থেটিক ফ্লিরোকুইনলোন (Synthetic fluoroquinolones) হিসেবে মানুষের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ সমস্যা সমাধানের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই ওষুধটি মূলত সেসব রোগীদের জন্য অনেক কার্যকরী যারা প্রতিনিয়ত ব্যাকটেরিয়াজনিত বা আলসার(গ্যাস্ট্রিক) সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও-
  • প্লেগ
  • নিউমোনিয়া 
  • সিফিলিস
  • অ্যানথ্রাক্স
  • গনোরিয়া ইত্যাদি।
সমস্যার ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ৫০০ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও এই অ্যান্টিবায়োটিক গলা, শ্বাসতন্ত্র, কান, ত্বক, সাইনাস, নাক ও মূত্রনালীর সংক্রমনের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সাধারনত এসব সমস্যার থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে এই ওষুধ সেবন করার নির্দেশ দিয়ে থাকে। আশা করছি ciprocin 500 কিসের ওষুধ তা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, ciprocin 500 এর কাজ কি সেই বিষয়ে জেনে নেই।

ciprocin 500 এর কাজ কি - ciprocin 500 mg

ciprocin 500 সিপ্রোফ্লক্লাসিন এর কার্যকরী একটি ওষুধ তৈরি হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে সিপ্রোসিন। নেগেটিভ ও পজেটিভ উভয় গ্রামেই বিক্রয় করা হয়। এটি ব্যাকগ্রাডিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে সহায়তা করে। এটি প্রভাব মূলত সমালোচনা করে বা সিমিলার ও নিউট্রালেন্সের মাধ্যমে সেগুলো প্রোগ্রাম পদে নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।

সিপ্রোসিন (ciprocin) মূলত এক ধরনের সংশ্লেষিত ফ্লোরোকুইনোলোন (fluoroquinolones), ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশনজনিত চিকিৎসার ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। সিপ্রোসিন এর মূল কাজ হল আমাদের দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে দমন করা। ব্যাকটেরিয়ার DNA কে একেবারে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা। এছাড়াও সিপ্রোসিনের নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। যেটি মূলত
  • শিজেলা
  • সালমোনেলা
  • সিউডো মোনাস
  • নেইসেরিয়া ইত্যাদি।
যা প্রতিগ্রামে নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিরুদ্ধে নানান ভাবে কার্যকরী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই এই ওষুধের নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী লক্ষ্য করা হয়েছে। আর সেজন্যই সিপ্রোসিন নামক ওষুধ মাইক্রো (micro) ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অনেক কাজ করে থাকে।

অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় জরায়ু আয়ুর্বেদিকজাতীয় ঔষধ জীবাণুমুক্ত হলে সেটা জীবাণুর প্রতিরোধক নামক সংবেদনশীল হয়ে যায়। এজন্য এর ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন নামক ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে নানান ধরণের রোগ বালাই ভালো করতে সক্ষম হয়েছে।

তাই এই ওষুধের মূল কাজ হচ্ছে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে প্রতিহত করে পুরোপুরী দমন করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আশা করছি ciprocin 500 এর কাজ কি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন সিপ্রোসিন ২৫০ এর কাজ কি তা জেনে নেই।

সিপ্রোসিন ২৫০ এর কাজ কি

সিপ্রোসিন ২৫০ এর কাজ হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে থাকে। চামড়া, সাইনাস ও হাড় এর সংক্রমণের গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি মূলত সেপ্টিকেমিক (Septicemic) প্লেগ রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী একটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি সুপার-কয়েলিংয়ের ক্ষেত্রে দায়ী ব্যাকটেরিয়া এনজাইম এর ডিএনএ (DNA) সংশ্লেষণকে বাঁধা দিয়ে থাকে। 

সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কেন সিপ্রোসিন খাওয়া হয় তাই পোষ্টের এই অংশে এই ওষুধ খাওয়ার কারনগুলো তুলে ধরেছি।  সিপ্রোসিন (Ciprocin) ৫০০ পেটে আলসার এবং ছোট অন্ত্রের চিকিৎসার ক্ষেত্রে করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি চাপজনিত কারণে সৃষ্ট আলসার প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়াও 
  • প্রোস্টাটাইটিস
  • সংক্রমিত ডায়রিয়া রোধ করতে
  • পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজজ দূর করতে
  • ইন্ট্রা এবডমিনাল সংক্রমণের জন্য
  • ত্বক ও কোমল টিস্যুর সংক্রমণের জন্য
  • টাইফয়েড রোগীদের জ্বর প্রতিরধ করার জন্য
  • মেনিনজাইটিস এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত নিউট্রোপেনিক ইত্যাদি।
মূলত এসব রোগের সমস্যাগুলো থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য সিপ্রোসিন ৫০০ খাওয়া হয়। তবে অবশ্যই তা একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী। এখন তাহলে নিশ্চই জেনে গেছেন সিপ্রোসিন ৫০০ কেন খাওয়া হয়। এবার চলুন সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ সেটি নিচের অংশ থেকে জেনে নেই।

সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ

সিপ্রোসিন মূলত বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ট্যাবলেট নানান ধরনের রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কেননা এটা প্রমানিত যে এই ওষুধ বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে পারে। যেসকল রোগের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ঔষধ ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে-
  • টাইফয়েড জ্বর হলে
  • পাতলা পায়খানা সংক্রামণ
  • (আলসার) গ্যাস্ট্রিক হলে 
  • সংক্রমিত ডায়রিয়া রোগে 
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ রোগে
  • শ্বাসনালীর সংক্রমণ রোগে
  • সার্জিক্যাল প্রোফাইলেক্সিস হিসেবে 
  • গনোরিয়া সংক্রমণ দেখা দিলে
  • তীব্য ও দীর্ঘ ব্রংকিয়াল মেয়াদি প্রবাহ সংক্রমণ
  • কোমল টিস্যুর সংক্রমণ এবং ত্বকের ক্ষেত্রে
  • নিউমোনিয়া সংক্রমণ দেখা দিলে
  • অস্থি ও অস্থিসন্ধি সংক্রমণ
  • ব্রংকোনিউ মোনিয়া সংক্রমণ
  • গর্ভবতী পরবর্তী সিফিলিস সংক্রমণ ইত্যাদি।
উপরোক্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও এই ওষুধ আরো নানান ধরনের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। আরো বেশ কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো সমস্যার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা এই ওষুধটি সেবন করা নির্দেশ দিয়ে থাকেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা।
  • মূত্র থলির সমস্যা সংক্রমণ
  • মূত্র নালি সংক্রমণ প্রবাহ
  • মধ্য কর্ন সংক্রমণ প্রবাহ
  • সাইনাস এর প্রবাহ সংক্রমণ
  • শ্বাস নালী এর উপরিভাগ সংক্রামণ
  • ত্বকে কিছু সমস্যা জনিত সংক্রমণ
  • পায় লোন ফ্রাইটিস রোগ সংক্রমণ
  • টনসিল রোগ প্রবাহ সংক্রামণ
  • ইন্ট্ররা অ্যাব ডোমিনাল রোগ সেপসিস সংক্রামণ
  • অস্থি এর মজ্জার দিক প্রবাহ নিয়ে সংক্রামণ ইত্যাদি।

সিপ্রোসিন ৫০০ খাওয়ার নিয়ম - ciprocin 500 dose

আমরা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম। সব ঔষধেরই সেবনের নির্দিষ্ট নিয়ম এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে। যেগুলো অবশ্যই মেনে ওষুধ সেবন করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে তাড়াতাড়ি তার কার্যকারিতা লক্ষণ করা যায়। আজকের পোষ্টের এই অংশে আমরা সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।

তবে সিপ্রোফ্লক্সাসিন আইভি সল্যুশন ব্যবহারের পূর্বে ব্যাগে কোন  ধরনের ফুটা রয়েছে কিনা সেটা খেয়াল করতে হবে। যদি ব্যাগে ফুটা থাকে তাহলে সেটি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও ব্যাগের সল্যুশন যদি ঘোলাটে দেখা দেয় তখনও  ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। সিপ্রোসিন খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে- 
  • প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ২৫০-৭৫০ মিলিগ্রাম প্রতিদিনে ২ বার সেবন করতে হবে কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
  • শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ক্ষেত্রে জটিল হলে সিপ্রোসিন ৭৫০ মিলিগ্রাম ৭ থেকে ১৪ দিন দিনে ২ বার সেবন করে যায়। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • ডায়রিয়া রোগের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ৩ থেকে ৭ দিন, দিনে সর্বোচ্চ ২ বার সেবন করা যায়। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • মূত্রথলির সংক্রমণের ক্ষেত্রে জটিল হলে সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম ৭-১৪ দিন, দিনে ২ বার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • হাড় এবং জয়েন্ট ইনফেকশন এর ক্ষেত্রে গুরুতর হলে সিপ্রোসিন  ৭৫০ মিলিগ্রাম ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ খেতে হবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • মূত্রনালীর সংক্রমণের ক্ষেত্রে জটিল হলে সিপ্রোসিন ৫০০ মি.গ্রা. ৭ থেকে ১৪ দিন, দিনে ২ বার সেবন করা যায়। আর যদি জটিল না হয় তাহলে সিপ্রোসিন ২৫০ মি.গ্রা. ৪ থেকে ৫ দিন খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • টাইফয়েড জ্বর এর ক্ষেত্রে সমস্যা গুরুতর বা জটিল হলে ৭৫০ মিলিগ্রাম ১০-১৪ সেবন করতে হবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • পেটের ভেতরে সংক্রামণের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ৫০০-৭৫০ মিলিগ্রাম দিনে 2 বার সেবন করতে হবে। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন ১০-২০ মিলিগ্রাম ১২ ঘন্টা পর পর সেবন করাতে হবে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যেকোনো ধরণের রোগ বালাই এর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিপ্রোসিন সেবন করতে হবে।

সিপ্রোসিন ৫০০ এর পার্শপ্রতিক্রিয়া

এই ওষুধ সেবনে উপকারিতা থাকার পাশাপাশি অতিমাত্রায় সেবন খেলে সামান্য পরিমাণ হলেও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দেয়। যদিও সবার ক্ষেত্রে খুব বেশি খারাপ প্রভাব নাও করতে পারে। এই ওষুধটি অতিমাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। কোন কোন সময় এই ওষুধ সেবনে আমাদের শরীরে বিরূপ প্রভাব 
ফেলতে পারে। সিপ্রোসিন ৫০০ এর বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে যেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • মাথাব্যথা করা
  • কাঁশি হওয়া
  • ঝিঁমুনি
  • ডাইরিয়া 
  • সর্দি হওয়া
  • খাবারে স্বাদে পরিবর্তন 
  • ক্লান্ত ও দুর্বলতা অনুভব করা
  • চামড়াতে ফুসকুড়ি 
  • ইনজেকশন সাইট
  • পেট ব্যাথা অনুভব করা
  • আলোক সংবেদনশীলতা 
  • ক্ষুধাহীনতা মনভাব
  • বমি হওয়া বা বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
আপনি যদি নিয়ম না মেনে এই ওষুধ সেবন করেন তাহলে উপরোক্ত পার্শপ্রতিক্রিয়া ছাড়াও আরো নানান ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক যেভাবে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিবেন সেই পরামর্শ বা নিরাম অনুযায়ী সেবন করতে হবে। আশা করছি সিপ্রোসিন ৫০০ এর পার্শপ্রতিক্রিয়া গুলো জেনে বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ সেবন করবেন।

সিপ্রোসিন ৫০০ এর দাম কত - ciprocin 500 price

সিপ্রোসিন ৫০০ ওষুধটি  একটি কার্যকরী স্বাস্থ্যকর ঔষধ হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত সিপ্রোফ্লক্সাসিন সংমিশ্রণ সমৃদ্ধির জন্য প্রযোজ্য। এবং এই ওষুধটি মূলত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি (Square Pharmaceuticals plc.) কোম্পানি বাজারজাত করে থাকে।

সিপ্রোসিন হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা সাধারনত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। আমরা অনেকই এর দাম জানিনা, চলুন তাহলে সিপ্রোসিন এর বিভিন্ন মিগ্রা এর দাম জেনে নেই।
সিপ্রোসিন ২৫০ মিগ্রা
খুচরা মূল্য: ৳ 8.56 Tk
বক্সের মূল্য: (5 x 10: ৳ 428.00) Tk
স্ট্রাইপ প্রাইজ: ৳ 85.00 Tk

সিপ্রোসিন ৫০০ মিগ্রা
খুচরা মূল্য: ৳ 15.05 Tk
বক্সের মূল্য: (3 x 10: ৳ 451.00) Tk
স্ট্রাইপ প্রাইজ: ৳ 150.00 Tk

সিপ্রোসিন ৭৫০ মিগ্রা
খুচরা মূল্য: ৳ 18.12 Tk
বক্সের মূল্য: (2 x 10: ৳ 362.00) Tk
স্ট্রাইপ প্রাইজ: ৳ 181.00 Tk

সিপ্রোসিন সিরাপ ২৫০ মি.গ্রা./৫ মি.লি. শিশুদের ক্ষেত্রে সিপ্রোসেন ৬০ মিলিগ্রাম সিরাপের মূল্য: ১০০ টাকা। স্থানভেদে এগুলো ওষুধের দামের কিছু পরিবর্তন হতে পারে। সিপ্রোসিন শিশুদের ক্ষেত্রে কিংবা প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সেবনের আগে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করেবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো মেডিসিনিই সেবন করা উচিত নয়। আবার শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে সেবন করাও উচিত নয়। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

ciprocin 500 এর সতর্কতা

যেসব রোগীর স্নায়ুতন্ত্রজনিত অসুস্থতা রয়েছে যেমন সিজার, এপিলেপসি বা মৃগী রোগ এবং খিচুঁনী আছে তাদের ক্ষেত্রে সিপ্রোসিন সাবধানতার সহিত খেতে হবে। এই ওষুধ সেবনকালীন সময়ে ব্যায়াম বা কোনো ধরণের খেলাধুলা করা উচিত নয়। মাংসপেশি দুর্বলতা যেমন মিসথেনিয়া গ্রাভিসের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি সেবন করা অনুচিত।

এই ওষুধের সেবনের প্রভাবে শরীরে চিনির মাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ সেবন করেন, তাদের এই সেবনকালে নিয়মিত রক্তে চিনির মাত্রা দেখে নেওয়া উচিত। এই ওষুধ ক্রয় করার পূ্র্বে অবশ্যই ঔষধের প্যাকেটে মেয়াদ দেখে নিতে হবে।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ciprocin 500 কি নিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে সিপ্রসিন ৫০০ ব্যবহারের এখনবদি কোনো ক্লিনিকাল রিপোর্ট বা সতর্কতা নেই। কিন্তু চিকিৎসার জন্য তা ব্যবহারযোগ্য বা অপরিহার্য হলেই তা  ব্যবহার করা উচিত।

লেখকের শেষকথাঃ ciprocin 500 কিসের ওষুধ

পরিশেষে আমি বারবার যে কথাটি থাকি, যেকোনো ধরণের ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন নিবিন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এবং তার দেওয়া উক্ত নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ciprocin 500 কিসের ওষুধ ও ciprocin 500 এর কাজ কি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি আপনারা ইতিমধ্যে এই ওষুধ সম্পর্কে জেনে গেছেন।

ciprocin 500 সম্পর্কিত আজকের এই পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে বন্ধুদের শেয়ার করে দিবেন করবেন। বিভিন্ন ওষুধ সম্পর্কিত অন্যেন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের আড্ডাভিউ ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার অন্নরধ রইলো। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url