ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো জানুন
সম্মানিত পাঠক, আসসালামু আলাইকুম আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলেই ভালোই আছেন।
আজকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টপিকে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে ব্রয়লার
মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা
ব্রয়লার মুরগির ডিম অনেক পছন্দ করেন। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির ডিমে বেশ কিছু
ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে যেগুলো আমাদের দেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
আমরা ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি কিন্তু এই ডিমের ক্ষতিকর
দিকগুলো আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। মূলত আজকে তাদের কথা বিবেচনা করেই
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা সাজানোর চেষ্টা
করেছি। ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে
আপনাকে কিছুক্ষণ সময় অপচয় করে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
ভূমিকা
বর্তমানে বাংলাদেশে বয়লার মুরগির ডিম বেশ জনপ্রিয় এবং প্রায় সব জায়গাতেই
এটা পাওয়া যায়। আমরা হয়তো অনেকেই প্রতিনিয়ত ব্রয়লার মুরগির ডিমের
উপকারিতা আছে ভেবে খাচ্ছি কিন্তু ব্রয়লার মুরগির ডিমে উপকারিতার পাশাপাশি যে
ক্ষতিকর রয়েছে এই বিষয়ে অবগত নয়। এই সকল বিষয়ে আমাদেরকে অবশ্যই অবগত
থাকতে হবে।
তা নাহলে ব্রয়লার ডিম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
মূলত এই কারণেই আজকের এই আর্টকেলে আমরা ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
আলোচনা করার পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ, ব্রয়লার মুরগির
ডিমের উপকারিতা, ব্রয়লার মুরগির ডিমে এলার্জি আছে কিনা
ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আপনি যদি বয়লার মুরগির যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী তথ্যগুলো সম্পর্কে
সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান তাহলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তো
আসুন আর বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। আমরা প্রথমে ব্রয়লার
মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণগুলো সংক্ষেপে জেনে নেব।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ
আমরা সকলেই জানি মুরগির ডিম অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার।
ব্রয়লার মুরগির ডিম যেগুলো পুষ্টি রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
- প্রোটিন
- চর্বি
- জিংক
- কপার
- আয়রন
- ম্যাগনেসিয়াম
- পটাশিয়াম
- সোডিয়াম
- ওমেগা-৩
- ভিটামিন বি-১
- ভিটামিন বি-৩
- ভিটামিন বি-২
- ফ্যাটি অ্যাসিড
- ভিটামিন বি-৫
- ক্যারোটিনয়েড
- বায়োটিন
- ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি।
উপরোক্ত উপাদান গুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বারডেম হাসপাতালের
জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের গবেষণায় প্রমানিত তথ্য অনুযায়ী প্রতি ১০০ গ্রাম
মুরগির ডিমের যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে তা হলো-
- শক্তি (২১৫ কিলোক্যালরি)
- প্রোটিন (১৮ মিলিগ্রাম)
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট (৪ মিলিগ্রাম)
- চর্বি (১৫ গ্রাম)
- ক্যালসিয়াম (১১ মিলিগ্রাম)
- আয়রন (০.৯ মিলিগ্রাম)
- ম্যাগনেসিয়াম (২০ মিলিগ্রাম)
- ফসফরাস (১৪৭ মিলিগ্রাম)
- পটাসিয়াম (১৮৯ মিলিগ্রাম)
- সোডিয়াম (৭০ মিলিগ্রাম)
- জিঙ্ক (১.৩ মিলিগ্রাম) ইত্যাদি।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা
প্রতিটা খাদ্যদ্রব্যে উপকারিতা রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম তার বিপরীত নয়।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের প্রেস করে একটু উপকারীতা রয়েছে। আপনি যদি এই মুরগির
ডিমের উপকারিতা গুলো না বোঝেন তাহলে ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে কোন লাভ হবে না।
এজন্য আমরা ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতি করতে জেনে নেওয়ার পূর্বে উপকারিতা
গুলো জেনে নিব।
আমরা যেই খাবারই গ্রহণ করি না কেন প্রতিটা খাবারেই উপকারিতা ও অপকারিতা
রয়েছে। কোন কোন খাবারে উপকারিতা বেশি অপকারিতা কম, আবার কোন খাবারে অপকারিতা
বেশি অপকারিতা কম। তো আসুন নিচের অংশ থেকে আমরা ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা
গুলো জেনে নেই।
ব্রয়লার মুরগিকে মূলত যে সব খাবার খাওয়ানো হয় সেগুলো খাবারে নানান ধরনের
ভিটামিন, শুটকি মাছের গুঁড়া, শামুকের গুঁড়া ,খৈল, লবণ, ভুষি ,গম, ভুট্টাসহ
আরো ভালো মানের খাবারের সংমিশ্রণ থাকে। তার কারণে ব্রয়লার মুরগির ডিমের
মধ্যেও অধিক পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে।
দেশি মুরগির যে ডিম পাওয়া যায় সেগুলোতেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে
পুষ্টিগুণ উপস্থিত রয়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগিকে যেহেতু অত্যধিক গুণগতমানের
পুষ্টির খাবার খাওয়ানো হয় তাই এই মুরগির ডিমে তুলনামূলক ভালো উপকার পাওয়া
যায়। এই মুরগির ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং
খনিজের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেগুলো আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারী।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে জৈব আমিষ পাওয়া যায়। এবং
কুসুমে মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, লৌহ সহ নানান ধরনের গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান রয়েছে উপস্থিত রয়েছে। যেগুলো আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। এই
মুরগির টিমে বেশ কিছু পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে যেগুলো যে কোন বয়সের ব্যক্তির
শরীরের শক্তি বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে বিদ্যমান পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিশুদের
বৃদ্ধি, হাড় শক্ত এবং মেধা বিকাশ করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এই মুরগির ডিমের বিদ্যমান ভিটামিন-এ এর কারণে শিশুদের দৃষ্টি
শক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে থাকে।
এই মুরগির ডিমের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ থাকার পাশাপাশি ডিমের কুসুমে পর্যাপ্ত
পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। যার ফলে যেকোন বয়সের মানুষের
হাড় মজবুত ও হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য কাজ করে থাকে।
আপনি ব্রয়লার মুরগির ডিম অথবা দেশি মুরগির ডিম খান না কেন, প্রতিটা মুরগির
ডিমেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। কিন্তু এই ব্রয়লার মুরগিকে বেশ
ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয় যার ফলে এই মুরগির ডিমে বেশ
ভালো পরিমাণের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।
এছাড়াও ব্রয়লার মুরগির ডিমের আকার দেশি মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক বড়
হয়। তাই ব্রয়লার মুরগি ডিমে বেশি পুষ্টি পাওয়া সম্ভব। আশা করছি
ব্রয়লার মুরগির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই মুরগির
ডিমের উপকারিতা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এবার চলুন ব্রয়লার মুরগির
ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নিই।
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
ব্রয়লার মুরগির ডিম যদিও খেতে অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিমানের তবুও এই খাবারের
মধ্যে বেশ কিছু খারাপ বা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার
আগে এর ক্ষতিকর দিকগুলো ভালোমতো জেনে নিতে হবে। আমরা সব সময় চেষ্টা করব যে
খাবারের খায় না কেন সেই খাবারের উপকারিতা জেনে নেয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর
দিকগুলো জেনে নেওয়া চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেই।
ব্রয়লার মুরগিকে প্রচূর পরিমাণে চর্বিযুক্ত ক্যাটল ফিড খাওয়ানো হয় যার ফলে
এর ডিমেও প্রচুর পরিমাণে চর্বি রয়েছে। আর এই চর্বিগুলো আমাদের দেহের বেশি
পরিমাণের গেলে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়াও দেশি ডিমের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির ডিমে স্বাদ কম হয়। এজন্য অনেকে
সময় দেখা যায় ব্রয়লার মুরগির ডিম খেতে পারে না বা খেতে চায় না।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকায় কেউ যদি পরিমাণে বেশি
ডিম খেয়ে ফেলে তাহলে মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। এজন্য
যতটুকু প্রয়োজন সেই প্রয়োজন মোতাবেক ব্রয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার
চেষ্টা করব।
এছাড়াও আপনি যদি প্রতিনিয়ত বেশি পরিমাণে ব্রয়লার মুরগির ডিম খেয়ে থাকেন
তাহলে আপনার দেহের মধ্যে চর্বি ও এন্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় পদার্থের পরিমাণ
বৃদ্ধি পেতে পারে যা শরীরের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর। শরীরে নানান ধরনের সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
যেসব ব্যক্তিদের এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের বয়লার মুরগির ডিম না
খাওয়াই উচিত। কেননা আপনি যদি এই মুরগির ডিম খান তাহলে আপনার দেহে
এলার্জির সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। এই মুরগির ডিম যেহেতু বিভিন্ন জায়গায়
বা বিভিন্ন ফার্মে অবস্থান করে তাই সেখানে নানান ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু
সংক্রমণ থাকতে পারে।
আর এগুলো জীবাণু দিনের মধ্যে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরের জন্য বিরূপ ক্ষতির
কারণ বা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ব্রয়লার মুরগির ডিম খাওয়ার পূর্বে
এ সকল বিষয়ে অবশ্যই আমাদের সচেতন থেকে পরিমাণ বা প্রয়োজন মোতাবেক ডিম
খাওয়ার চেষ্টা করব।
উপরে যেগুলো পয়েন্ট আলোচনা করা হয়েছে এগুলো মূলত ব্রয়লার মুরগির ডিমের
ক্ষতিকর দিক হিসেবেই বিবেচিত। এই ধরনের মুরগির ডিম আগে অবশ্যই ভালো মতো
যাচাই-বাছাই করে তারপরে ক্রয় করবেন।
আর আপনি যদি আপনার ব্রয়লার মুরগির ডিম খেয়ে আপনার শরীরে কোন ধরনের পরিবর্তন
লক্ষ্য করেন বা কোন ধরণের অসুবিধা হয় তাহলে না খাওয়াই উচিত। তবে আপনি যদি
এই মুরগির ডিম বেশি পরিমাণে না খান তাহলে আশা করি কোন সমস্যা হবে না।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে
আমাদের মাঝে অনেকেই ব্রয়লার মুরগির ডিম নিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন করে
থাকেন। যেমন তার মধ্যে অনেক সাধারণ প্রশ্ন হচ্ছে ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি
এলার্জি আছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমরা নিচের অংশে সহজ ভাষায় আলোচনা করা হবে।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে এলার্জি আছে কিনা সেটা জানতে হলে আপনাকে এই পাঠের শেষ
পর্যন্ত ভালোমতো পড়তে হবে।
এলার্জি হচ্ছে অনেক অস্বস্তিকর একটি রোগ। কারণ কারও কারও ক্ষেত্রে আলাদা
আলাদা খাদ্য বস্তুর সাথে এলার্জি সম্পৃক্ত রয়েছে। যেমন আমার এলার্জি একটি
কারণে হতে পারে আবার আপনার এলার্জি হতে পারে আরেকটি কারণে। এর প্রধান কারণ হল
এলার্জি হচ্ছে ত্বকের সমস্যা। আর এটি আমাদের মানবদেহের ভিতরে বাসা বেধে থাকে।
যার ফলে আমাদের দেহে যখন অস্বাভাবিক কিছু খাবার প্রবেশ করানো হয় ঠিক তখনই এই
এলার্জি প্রকপটা বেড়ে যায়। যদিও ব্রয়লার মুরগির ডিমের কোন ধরনের এলার্জির
প্রতিক্রিয়া নেই। তবুও আপনার যদি নির্দিষ্টভাবে এই ডিমে এলার্জি থাকে, তাহলে
আপনার শরীরে এর এলার্জির প্রতিক্রিয়া আক্রমণ করাটা স্বাভাবিক।
আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি যে মানুষের শরীরে এলার্জি বিভিন্ন কারণে হয়ে
থাকে। তাই আপনার শরীরের কোন প্রকার এলার্জির প্রতিক্রিয়া আছে কিনা প্রথমে
আগে সেটি নির্বাচন করতে হবে। যদি এই ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতিনিয়ত
খাওয়ার জন্য শরীরে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি পায় তাহলে আপনাকে বুঝতে
হবে যে এই মুরগির ডিম খেলে আপনার শরীরে এলার্জি হয়।
আর এই সময় ব্রয়লার মুরগির ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই উত্তম। ব্রয়লার
মুরগির ডিম খাওয়ার পরে যখনই দেখবেন আপনার শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া বেড়ে
যাচ্ছে তখন থেকেই মুরগির ডিম খাওয়া বাদ দিতে হবে। আর হ্যাঁ যদি এলার্জির
প্রতিক্রিয়া খুব বেশি থাকে তাহলে আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ব্রয়লার মুরগির ডিম কোথায় পাওয়া যায়
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা ব্রয়লার মুরগির ডিম খেতে অনেক পছন্দ করে
কিন্তু তারা বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করেও ভালো ডিমের সন্ধান পায় না। আপনি
যদি তাদের দলের একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে ব্রয়লার
মুরগির ডিম কোথায় পাওয়া যায়। চলুন তাহলে আমরা সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে
নেই।
ব্রয়লার মুরগির ডিম মূলত যে এলাকায় লালন পালন করা হয় সেই এলাকায় সহজেই
পেয়ে যাবেন। কারণএই মুরগির ডিম ফার্ম আকারে অনেকগুলো লালন-পালন করা হয়।
যেখানে ব্রয়লার মুরগির ফার্ম রয়েছে সেখানে গেলে আপনি অতি সহজেই এই মুরগির
ডিম গুলো কালেক্ট করতে পারবেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ফার্ম থেকে ডিম সংগ্রহ করে বেশিরভাগ বিক্রেতা সারাদেশে
বাজারজাত করে থাকে। বর্তমানে প্রায়ই প্রতিটা মুদির দোকানে ব্রয়লার মুরগি
ডিম বিক্রি করা হয় আপনারা চাইলে সেখানে থেকেও এ মুরগির ডিম সংগ্রহ করতে
পারবেন।
এছাড়াও আপনার এলাকায় দেখবেন অনেকেই ডিমের ডিমের আড়ত নিয়ে বসে আছেন। তাদের
কাছ থেকেও ডিম পাইকারি দামে ক্রয় করতে পারবেন খুব সহজেই। অনেকে আছেন যারা
অনলাইনে ডিম অর্ডার করে থাকেন। আমার মত হচ্ছে মুরগির ডিম অনলাইনে অর্ডার করে
না কেনাই ভালো।
কারন ডিম যদি খারাপ দিয়ে দেয় তাহলে আপনাকে বিভিন্ন ভোগান্তির মোকাবেলা করতে
হবে। তাই ডিম সামনা সামনি দোকানে গিয়ে ক্রয় করাই সবচেয়ে ভালো। আশা করি আপনার
প্রশ্নের উত্তর জানতে পেরেছেন।
লেখকের শেষকথাঃ ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক
পরিশেষে বলব যে, ডিমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে কিন্ত আপনি যদি
ব্রয়লার মুরগির ডিম অত্যাধিক পরিমাণে খেয়ে ফেলেন করেন তাহলে এটা শরীরের জন্য
ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমরা যে সমস্ত খাবার প্রতিনিয়ত খায় সেগুলোর মধ্যে কোন
না কোন খারাপ প্রতিক্রিয়া থেকে এবং ভালো দিকও থাকে। তাই যেকোন খাবার খাওয়ার
আগে আমাদেরকে অবশ্যই ভালো এবং খারাপ উভয় দিকগুলো বিবেচনা করে খেতে হবে।
আমরা ইতিমধ্যে ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক ও ব্রয়লার মুরগির অন্যেন্য
টপিকে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। নিজের
স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন থেকে পরিমাণ মতো ডিম খেতে থাকুন।
তারপরও যদি ব্রয়লার মুরগির ডিম সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন বা মতামত কিংবা
কোন অংশ বুঝতে না পারেন তাহলে সেটা আমাদের জানাতে পারেন কমেন্ট
বক্সে। ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কিত আজকের
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url