tofen syrup এর কাজ কি | বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের বাচ্চারা প্রতিনিয়ত ঠান্ডা,সর্দি-কাশি ও
হাঁপানি জনিত সমস্যায় ভুগছে বলে আপনারা খুব বেশি চিন্তিত? তাহলে এখন আর
চিন্তার কোনো কারণ নেই কেননা এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে টোফেন সিরাপ। তাই
আজকের পোষ্টে আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে বাচ্চাদের টোফেন সিরাপের এর কাজ কি,
খাওয়ার নিয়ম ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদিসহ এই সিরাপ সম্পর্কে যাবতীয়
বিস্তারিত তথ্য সাজানোর চেষ্টা করেছি।
বর্তমানে বাচ্চাদের জন্য পিউরিসাল সিরাপ বহুল ব্যবহৃত একটি সিরাপ হিসেবে পরিচিত। আপনি যদি আপনার শিশুকে অথবা আপনি নিজে এই সিরাপ সেবন করতে চান, তাহলে এই সিরাতের ব্যবহার বিধি বিস্তারিত জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। আর টোফেন
সিরাপের বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে এই পোষ্টের শেষ অবদি থাকতে হবে। তাহলে আমরা এই
সিরাপ সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব যার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই
উপকৃত হতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃভূমিকা - tofen syrup
বর্তমানে tofen syrup বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য একটি বহুল ব্যবহৃত সিরাপ। আমরা
অনেকেই এই সিরাপ আমাদের শিশুদের শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা লাগা কাশির নিরাময়ের জন্য
সেবন করিয়ে থাকি। তাই হয়তো টোফেন সিরাপ সম্পর্কে কমবেশি সকলেই পরিচিত। এটি
সাধারনত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Beximco Pharmaceuticals
Limited) কোম্পানি বাজারজাত করে থাকে। যার জেনেটিক নাম কিটোটিফেন
ফিউমারেট (Ketotifen fumarate)।
আপনারা অনেকেই এই tofen syrup সম্পর্কে গুগলে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন।
আপনি যদি আপনাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন, তাহলে আপনি এই টোফেন সিরাপ নিয়ে
উপকারি তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টের শুরু থেকে
শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আসুন, আপনার মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট না করে মূল
আলোচনা শুরু করি। আমরা প্রথমে জেনে নিব যে টোফেন কিসের ঔষধ সেই সম্পর্কে।
টোফেন কিসের ঔষধ
আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে টোফেন কিসের ঔষধ বা টোফেন সিরাপ কোন কোন
রোগের সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তাই পোষ্টের শুরুতেই এই সম্পর্কে তুলে
ধরেছি। সাধারণত যেসব বাচ্চাদের বয়স এক থেকে বারো বছর বয়সী তাদের ক্ষেত্রে
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই টোফেন সিরাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বেশিরভাগ সময়ে ঠান্ডা জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ছোট বাচ্চাদের জন্য টোফেন সিরাপ
ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে এই সিরাপের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় কঠোরভাবে হাঁপানীর
প্রতিরােধমূলক চিকিৎসায়। এছাড়াও এই সিরাপ আরও বিভিন্ন রোগ বা বিভিন্ন এলার্জিক
অবস্থার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় যেমন-
- সর্দি-কাশি সমস্যায়
- হাঁপানি হলে
- রাইনাইটিস
- কনজাংটিভাইটিস
- এলার্জি জনিত সমস্যায়
চোখ উঠা সহ বিভিন্ন রোগ বা দেহের সমস্যা নিরাময়ের জন্য এই টোফেন সিরাপ
নির্দেশিত। আশা করি টোফেন কিসের ঔষধ বা কোন কোন সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়
তা হয়তো জানতে পেরেছেন। এবার চলুন টোফেন সিরাপ এর কাজ কি বিস্তারিত জেনে
নেই।
টোফেন সিরাপ এর কাজ কি
টোফেন নামের এই সিরাপটি সাধারনত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের সর্দি-কাশি সমস্যার
জন্য বহুল ব্যবহৃত। এটি শিশুদের দেহের জন্যে বেশ উপকারি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
থাকে। তবে আসলে এই সিরাপটি ছোট থেকে শুরু করে বড় বয়সের মানুষ সেবন করতে পারে।
যাদের শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা রয়েছে তাদের এই সমস্যা দূর করতে সহায়ক। আবার আপনি যদি
বুকে কনজেশনে ভোগেন তাহলে এই সিরাপ সেবনে আপনার উপসর্গগুলি কমাতে সাহায্য করতে
পারে। এছাড়াও এই সিরাপ আমাদের দেহে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে থাকে যেমন-
- হাঁপানীর প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে
- বিভিন্ন এলার্জিক অবস্থা নিয়াময় করে
- হে-ফিভার, আর্টিকারিয়া দূর করে
- রাইনাইটিস দূর করতে সহায়ক
- কনজাংটিভাইটিস দূর করতে সহায়ক
- স্পর্শ অসহিষ্ণুতা উপসর্গ উপশমে
- নিউরােফাইব্রোমা জনিত চুলকানী ও ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে ইত্যাদি।
মূলত উপরোক্ত সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে টোফেন সিরাপ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
তবে যদি এক কথায় বলি তাহলে এই সিরাপ বাচ্চাদের সর্দি কাশি নিরাময়ের জন্য
সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। আশা করি tofen syrup এর কাজ কি তা জানতে পেরেছেন। এবার
চলুন বাচ্চাদের ক্ষেত্রে টোফেন সিরাপ এর কাজ কি তা নিচের অংশ থেকে বিস্তারিত
জেনে নেওয়া যাক।
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি
ছোট বাচ্চাদের ঠান্ডা জনিত সমস্যার বিরুদ্ধে এই টোফেন সিরাপ ব্যাপকভাবে ব্যবহার
করা হয়। আপনার বাচ্চা যদি সর্দি-কাশি, ঠান্ডা ও হাঁপানি থাকে তাহলে একজন
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার বাচ্চাকে নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে
পারেন। যখন ছোট বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে যেমন ঠান্ডা লাগা, শ্বাসকষ্ট এবং
কাশির জন্য এই সিরাপ খাওয়ানো হয়।
টোফেন সিরাপ সেবনের ফলে বাচ্চাদের এ ধরণের সমস্যাগুলো নিরাময় হয়ে যায়। আমাদের
শিশু যখন অসুস্থ হয়, তখন বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। তার এই অসুস্থ হওয়ার
লক্ষণগুলো আমাদের বাবা-মাদের বুঝে নিতে হয় কেননা তারা ছোট থাকাকালীন ভালোমতো
বলতে পারেনা যে আসলে তাদের কিভাবে কোথায় সমস্যা হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ কারমিনা সিরাপ খেলে কি ক্ষতি হয়
ছোট শিশুদের যদি কখনো সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লাগে তাহলে অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে
দেখতে হয়। তার কারণ হচ্ছে ছোট শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই অনেক কম
হয়। তাই আপনার বাচ্চাদের সঠিক চিকিৎসা নিয়ে তাদের শরীরের সমস্যাগুলো সারিয়ে
ফেলা উচিত।
বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে অবশ্যই শিশুদের সাবধানের সহিত রাখতে হবে। এজন্য
শিশুদের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দিতে হয় এবং তাদের যেকোন সমস্যাগুলো গুরুত্ব
দিতে হবে। ছোট শিশুদের ঠান্ডা লাগা সমস্যার জন্য এই টোফেন সিরাপটি অনেক
গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যখনই বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তখন যদি
আপনি একজন শিশু বিশেশজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই টোফেন সিরাপ আপনার
শিশুদের সেবন করান, তাহলে দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি সে সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
আশা করছি বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন,
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নেই।
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
একটি শিশুর অসুস্থতার উপর ভিত্তি করে যেকোন মেডিসিন বা সিরাপ সেবনের নিয়ম এবং
মাত্রাও পরিবর্তন হয়ে থাকে। তাই আপনার শিশু কতটুকু বা কি পরিমাণ অসুস্থ সেটি
নির্ণয় করে অবশ্যই পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়ার সঠিক
নিয়মটি জেনে নিতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে এই সিরাপ খাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম
রয়েছে যেমনঃ
- ১ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাফ চামচ করে দিনে ২ বার।( সকালে ও রাতে খাবারের পরে)
- ১-৩ বছর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১ চামচ করে ২ বার। ( সকালে ও রাতে খাবারের পরে)
- ৩-৬ বছর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দের চামচ করে ২ বার। ( সকালে ও রাতে খাবারের পরে)
- ৬-১২ বছর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ২ চামচ করে দিনে ২ বার। ( সকালে ও রাতে খাবারের পরে)
তবে ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত এ সকল ওষুধ বা সিরাপ সেবন করা থেকে দূরে থাকবেন।
কেননা যেহেতু সিরাপটি বাচ্চাদের সেবন করানো হয় তাই কোথায় থেকে কি হয়ে যায়
সেজন্য অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটা ওষুধেরই কিন্তু সামান্য পরিমান হলেও
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
তাই আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত ওষুধ খাওয়ান তাহলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার
ফলে আপনার বাচ্চার সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আশা করছি বাচ্চাদের
টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। এবার চলুন বড়দের ক্ষেত্রে টোফেন সিরাপ
খাওয়ার নিয়ম জেনে নেই।
বড়দের টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম শিশুদের ক্ষেত্রে ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে অবশ্যই
আলাদা হয়। উপরের অংশ পড়ে হয়তো এতক্ষণ আপনি শিশুদের ক্ষেত্রে টোফেন সিরাপ
খাওয়া নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। এ পর্যায়ে আমরা বড়দের ক্ষেত্রে
টোফেন সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিব।
টোফেন সিরাপের সাধারণ ডোজ এর সময়সূচী হচ্ছে প্রতি ৮ ঘন্টায় ৪ ডোজ। প্রতি ৪
ঘন্টায় ২ চা চামচ (১০ মিলি) প্রস্তাবিত প্রাপ্তবয়স্ক ডোজ, দৈনিক সর্বোচ্চ ৬ চা
চামচ (৩০ মিলি)। একটি পূর্ণ গ্লাস পানি সহ সেবনের সুপারিশ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে
আপনাকে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিরাপটি সেবন করতে হবে।
এ বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। কেননা আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এই সেরা
সেবন করেন তাহলে আপনার দেহে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে। তাহলে এবার চলুন টোফেন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নেই।
টোফেন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
টোফেন সিরাপ (tofen syrup) অতিমাত্রায় সেবন করলে খেলে যেসব পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়াগুলো দিতে পারে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
লক্ষন সবসময় দেখা দিতে না-ও পারে। আসুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
গুলো নিচের অংশে জেনে নেই।
মূলত এই সিরাপ সঠিকভাবে গ্রহণ করলে, সুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিরূপ
প্রভাবের ঝুঁকি কম রাখে। তবুও কারও কারও ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত নেতিবাচক প্রভাবগুলো
অনুভব করে। এছাড়াও
- তন্দ্রাচ্ছন্নতা
- বমি বমি ভাব
- মুখ গহ্বরের শুষ্কতা ভাব
- সামান্য মাথা ঘােরা ভাব
- ছুঁড়ে ফেলা বা অস্বস্তি বোধ করা ইত্যাদি।
তবে এই সিরাপ ব্যবহারের কিছুদিন পরে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিলীন হয়ে যায়।
তবে যদি এই নেতিবাচক প্রভাবগুলোর মধ্যে কোনটি জটিল আকার ধারণ করে তাহলে ওষুধ
গ্রহণ বন্ধ করা এবং এত অবিলম্বে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে দেখা করা
গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি টোফেন সিরাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে পেরেছেন। এবার
চলুন টোফেন সিরাপ এর দাম জেনে নেই।
টোফেন সিরাপ এর দাম
টোফেন সিরাপটি বাচ্চাদের কাশি, সর্দি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে কার্যকরী ঔষধ
হিসেবে পরিচিত। যেটা আমরা অনেকেই বাচ্চাদের সেবন করিয়ে থাকি। এটি বেক্সিমকো
ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Beximco Pharmaceuticals Limited) কোম্পানি বাজারজাত
করে থাকে। যার জেনেটিক নাম কিটোটিফেন ফিউমারেট (Ketotifen fumarate)।
প্রতি ১০০ মিলি বোতল tofen syrup এর দাম হচ্ছে মাত্র ৭৫ টাকা। টোফেন
ট্যাবলেট আকারেও বাজারে পাওয়া যায়। প্রতি ১ মিগ্রা টোফেন ট্যাবলেটের দাম হচ্ছে ৪
টাকা। আর প্রতি পাতার দাম ৬০ টাকা। এই টোফেন সিরাপটি আপনি প্রতিটা ফার্মেসিতেই
পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে হয়রানি হতে হবে না। যেকোন ফার্মেসিতে গেলে আপনি ৭৫
টাকায় সিরাপটি পেয়ে যাবেন।
তবে মনে রাখবেন এই সিরাপ সেবন করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ অথবা শিশু বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত কোন ধরণের সিরাপ বা ওষুধ সেবন করা
উচিত নয় তাহলে সেটার বিপরীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে আরও বিভিন্ন রকম রোগের
সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেজন্য আপনার শিশুকে যেকোনো সমস্যার জন্য সঠিক
পরিমাণের ওষুধ খাওয়াতে হবে।
টোফেন সিরাপ এর সতর্কতা
টোফেন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে আমাদের দেহে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে
পারে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা হতে পারে। তবে এছাড়াও আরো বিভিন্ন
ধরণের সমস্যা হতে পারে তাই সতর্ক থাকতে হবে এবং ছোট শিশুদের প্রতি ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে সেবন করাতে হবে।
তবে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখি যে কোন ওষুধ সেবন করার আগে
সবসময় সেই ওষুধের মেয়াদ দেখবেন কারণ আপনি যদি না দেখে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ
আপনার ছোট শিশুকে সেবন করান তাহলে আপনার শিশুর অনেক বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা
অনেক বেশি। সেই জন্য ওষুধ সেবন করানোর আগে অবশ্যই তার মেয়াদ অবশ্যই দেখবেন।
এই বিষয়টা আমাদের সকল বাবা-মার নজরে থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন তাই এক্ষেত্রে
সতর্ক থাকতে হবে এবং সুস্থ থাকতে হবে। এই ওষুধের খুব বেশি নিরাপত্তার তথ্যের
অভাবের কারণে স্তন্যদানকারী মায়েদের টোফেন সিরাপ গ্রহণ করার আগে অবশ্যই তাদের
ডাক্তারের সাথে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
লেখকের শেষকথাঃ tofen syrup এর কাজ কি
আশা করছি ইতিমধ্যে আপনারা আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা শিশুদের টোফেন সিরাপ এর
কাজ কি, সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, দাম ইত্যাদিস সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য জেনে গেছেন। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রেই মূলত এই সিরাপটি ব্যবহার করা
হয়। অর্থাৎ ১ থেকে ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারযোগ্য।
তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শিশুকে এই সিরাপ বা
ওষুধ গ্রহণ করাবেন। আপনারা হয়তো এতক্ষণে tofen syrup সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে
গেছেন। আর যদি এই tofen syrup সম্পর্কে আপনাদের কোন ধরণের প্রশ্ন বা মতামত থাকে
তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
টোফেন সিরাপ সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের অথবা
প্রিয়জন দের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এই টোফেন সিরাপ সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। প্রিয় বন্ধুরা বিভিন্ন মেডিসিন বা সিরাপ
সম্পর্কিত অন্যেন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য পেতে আমাদের আড্ডাভিউ আইটি ওয়েবসাইট
নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।
আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url