অপরাজিতা গাছের উপকারিতা

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্যঅপরাজিতা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা যারা জানেন না, তারা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কেননা অপরাজিতা গাছের উপকারিতা সম্পর্কেই আলোচিত হবে আজকের আর্টিকেলে।

অপরাজিতা- ফুলের- বৈশিষ্ট্য
নীল রংয়ের ফুল হয়, এই গাছে। দেখতে অনেকটাই প্রায় দীঘল চোখের মতো। অপরাজিতা গাছের যেমন রয়েছে অনেক উপকারিতা ঠিক তেমনি এর ফুল থেকেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাই আপনি কিভাবে অপরাজিতা গাছের উপকারিতা পেতে পারবেন, বিষয়টি আলোচনা করা যাক।

পেজ সূচিপত্র : অপরাজিতা গাছের উপকারিতা

অপরাজিতা গাছের উপকারিতা

অপরাজিতা গাছের রয়েছে বহু উপকারিতা। এই অপরাজিতা গাছে ফোটে নীল রংয়ের ফুল। যা বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ত্রুটি মুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। অপরাজিতা গাছ ঔষধি ভেষজ গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অপরাজিতা গাছ যেমন আমাদের বাড়ির শোভা বর্ধণ করে থাকে, ঠিক তেমনি এটি ঔষধি গুণেও এটি বেশ কর্যকর। দেখতে অপরূপ সুন্দর এই ফুল হলো অপরাজিতা।

অপরাজিতা ফুল কে একটি পবিত্র ফুল হিসেবে গণ্য করা হয়। এগুলো প্রতিদিন প্রার্থনায় ব্যবহার করা হয়। অপরাজিতা হলো একটি সবল, লতানো লেবু জাতীয় উদ্ভিদ এবং গাছের গোঁড়া পাঁচ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
অপরাজিতা- ফুলের- চা- খেলে- কি- হয়
অপরাজিতা উদ্ভিদটি হলো একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ উদ্ভিদ। এটি খুব অল্প খরচেই জন্মে থাকে। অপরাজিতা উদ্ভিদ অন্য উদ্ভিদ গুলোর তুলনায় পশুদের কাছে বেশী পছন্দ সই।

বাড়িতে অপরাজিতা গাছ লাগালে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। গাছটি কোন দিকে লাগানো হবে, সেই বিষয়টিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর, পূর্ব ও উত্তর পূর্ব দিকে এই গাছ লাগানো আবশ্যক। এই সুনির্দিষ্ট নির্দেশ গুলো নিজ গৃহে সুখের ও সমৃদ্ধিতে সৃষ্টি কর্তার দীক্ষা বলে মনে করা হয়। তাছাড়া, এই গাছটি মূল দরজার ডান দিকেও স্থাপণ করাও শুভ বলে বিবেচিত হয়।

অপরাজিতা উদ্ভিদ তার অসংখ্য ঔষধি গুণ ও ব্যবহারের জন্য ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। যা ডায়াবেটিস রোগের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলে বিবেচিত হয়। অপরাজিতা গাছের ফুল চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে এবং চোখের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। অপরাজিতা ফুল বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রধান উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

এটি সিজোফ্রেনিয়া ও স্নায়ুবিক ব্যাধি গুলোর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যের কারণে, অপরাজিতা গাছের পাতার সূক্ষ পেস্ট ক্ষত নিরাময়ে বেশ দারুণ ভুমিকা রাখে।

অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা

প্রকৃতির মধ্যে যত সুন্দর সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ফুল। ফুলের মধ্যে এক অন্যন্য ফুল হলো এই অপরাজিতা। অপরাজিতা ফুল আমাদের মাঝে নীল কন্ঠও নামেও পরিচিত। অপরাজিতা ফুল বিভিন্ন রংয়ের হতে দেখা যায়। নীল রং ছাড়াও সাদা, হালকা বেগুনী, হলুদ ও লাল রংয়েরও অপরাজিতা ফুল দেখা যায়। এই ফুলের উপকারিতা গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো:-

১. লিভার সুরক্ষায় অপরাজিতা
অপরাজিতার নীল চা পলিফেনল ও ফ্লাভোনোয়েড যৌগ লিভার এনজাইমের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই লিভারের সুরক্ষায় অসাধারণ ভুমিকা পালন করে অপরাজিতা ফুলের চা। তাই কেউ যদি লিভারের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এই সাহায্যটি নিতে পারেন।

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অপরাজিতা
অপরাজিতা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে এই অপরাজিতা। ডায়াবেটিসের রোগী যারা রয়েছেন, তারা এই অপরাজিতার সাহায্য নিতে পারেন।

৩. অ্যাজমা প্রতিরোধে অপরাজিতা
অপরাজিতায় বিদ্যমান থাকে স্যাপোনিন ও ফ্লাভোনয়িড যৌগ। আর এই উপাদান গুলোই অ্যাজমা প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা পালন করে থাকে। অ্যাজমায় যে সকল রোগী গুলো ভুগছেন, তারা অপরাজিতার সাহায্য নিতে পারেন।

৪. ক্যানসার প্রতিরোধে অপরাজিতা
ক্যানসারের মতো জটিল একটি রোগ প্রতিরোধেও অপরাজিতার কথা চলে আসে। কারন অপরাজিতায় বিদ্যমান থাকে অ্যান্থোসায়ানিন। অ্যান্থোসায়ানিন নামক এই উপাদান মানব দেহে ফ্রী রেডিকেল উৎপাদনে বাধা প্রদান করে থাকে। যা ক্যানসার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

৫. স্মৃতি শক্তি বাড়াতে অপরাজিতা
অ্যালজেইমার বা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে ভুমিকা রাখে এই অপরাজিতা। তাই অপরাজিতা স্মৃতি শক্তি বাড়াতে ব্যবহার করেন অনেক চিকিৎসায় নানা চিকিৎসকগণ। তাই আপনার স্মৃতি শক্তি জনিত কোনো সমস্যা থাকলে আপনি অপরাজিতার সাহায্য নিতে পারেন।

৬. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় অপরাজিতা
অপরাজিতা রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমায়। তাছাড়া কোলেস্টেরল ও এলডিএলের পরিমাণও কমিয়ে থাকে। খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এগুলো যেহুতো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই অপরাজিতা এগুলোর পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে।

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য

অপরাজিতা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। অপরাজিতা গাছ হলো একটু বহু বর্ষজীবী ও ভেষজ উদ্ভিদ। অপরাজিতা গাছের পাতা গুলো উপবৃত্তাকার ও স্থূল পাতা রয়েছে। এটি একটি শোভাময় উদ্ভদি হিসেবে জন্মায়। অপরাজিতা ফুল দুই ধরনের হয়ে থাকে। সাদা অপরাজিতা ও নীল অপরাজিতা।

অপরাজিতা ফুল বেশ উপকারী একটি ফুল। এই ফুলের রয়েছে বহু ঔষধি উপকারিতা। অপরাজিতা ফুলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এই ফুলের রং। এই ফুলের রংয়ের সবাই বেশী আকর্ষিত হয়ে থাকে৷ তাছাড়া অপরাজিতা ফুলের রয়েছে অনেক ভেষজ উপকারিতা। অপরাজিতা ফুল অমাদের শরীরের স্বাস্থ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।

অপরাজিতা ফুল কত রংয়ের হয়

অপরাজিতা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। অপরাজিতা ফুল সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। নীল অপরাজিতা ফুল এবং হলো সাদা অপরাজিতা ফুল। হিন্দুরা অপরাজিতা ফুল নিয়ে বিভিন্ন কিছু মনে করে থাকে। তারা মনে করে যে, অপরাজিতা ফুল হলো খুবই শুভ ও পবিত্র। তারা মনে করেন, অপরাজিতা ফুল মহাদেব প্রিয় ও নারায়ণও এই ফুলটি পছন্দ করো থাকে।

এই ফুলটি পবিত্র বলে বিবেচিত হয়ে থাকে সনাতনী ধর্মের লোকের কাছে। শারদীয় দুর্গা উৎসবে বোধনের পর সাদা অপরাজিতা দিয়ে বেধে দেওয়া হয়। বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের পর কুল প্রথা অনুসারে পূজা মন্ডপে ভক্তদের বিজয় কামনায় অপরাজিতা পূজার প্রচলন আছে।

ভেষজ গুণ রয়েছে এই অপরাজিতা ফুলে। এই ফুলের লতা পাতা, শিকড়, বিভিন্ন রোগ ব্যাধি নিরাময় করে। তাছাড়া ব্রুন, আমাশয় ও মূত্র রোগের চিকিৎসায় ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই অপরাজিতা।

অপরাজিতা পাতার বৈশিষ্ট্য কি কি

বহু বর্ষজীবী উদ্ভিদ হলো অপরাজিতা। অপরাজিতার রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু বৈশিষ্ট্য। যার কারণে সবার কাছে এই ফুলটি অনেক প্রিয় একটি ফুল। সনাতন ধর্মের লোকের কাছে তো এই ফুল পবিত্র একটি ফুল। তারা বিভিন্ন কাজে এই ফুল কে ব্যবহার করে থাকে। অপরাজিতা ফুল সহ এর গাছেরও বেশ সৌন্দর্য রয়েছে। আর সেই জন্যই এই অপরাজিতা গাছটি বাড়ির আশে পাশে লাগালে, সেখানকার সৌন্দর্য কে অনেক বাড়িয়ে দেয় এই অপরাজিতা।

অপরাজিতা গাছের পাতা দেখতে উপবৃত্তাকার ধরণের হয়ে থাকে। অপরাজিতা গাছ যখন পূর্ণাঙ্গ হয়ে যায়, তখন এটি দেখতো একটি ঝোপের মতো এবং সারা বছরই এই গাছে ফুল ফোটে। এই অপরাজিতা গাছ স্বাভাবিক বাগানে মনোমুগ্ধকর একটি পরিবেশ তৈরি করে থাকে। নীল অপরাজিতা ফুল সারা বছরই পাওয়া যায়। অপরাজিতা গাছের শাখা প্রশাখা গুলো খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই বড় হয়ে যায়। অপরাজিতা যে একটি ভেষজ উদ্ভিদ, সে সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই অবগত হয়ে গিয়েছি।

অপরাজিতা হলো ফাবেসিয়া গোত্রের একটি লতানো উদ্ভিদ। এই উদ্ভিদের আদি নিবাস হলো মালয় উপদ্বীপে। তবে বাংলাদেশেও এটি প্রচুর দেখা যায়। অপরাজিত পাতার উপপত্র রয়েছে। কান্ডের সাথে পাতা গুলো একান্তর পত্র বিন্যাসে সজ্জিত থাকে। অপরাজিতার পাতা গুলো হলো সচূড় এবং যৌগিক পক্ষল। অপরাজিতার পাতা গুলো হলো ডিম্বা আকৃতির এবং লম্বায় ৪ সেমি ও প্রস্থে ৩ সেমি হয়ে থাকে।

অপরাজিতা ফুলের চা খেলে কি হয়

অপরাজিতা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। নীল কিংবা বেগুনী রংয়ের চা হয়তো অনেক দেখেছেন। এই চা গুলো তৈরি করা হয় অপরাজিতা ফুল থেকে। বর্তমানে এই ধরণের চা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চায়ে যেমন রয়েছে একটু ভিন্ন স্বাদ ঠিক পাশাপাশি এই চায়ে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও। যারা উপকার পাওয়ার জন্য গ্রীন চা খেয়ে থাকেন, তারা চাইলে নীল চা খেতে পারেন। কারণ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, নীল চায়ে লুকিয়ে আছে দীর্ঘজীবী হওয়ার অমৃত সুধা।

নীল রংয়ের চায়ে রয়েছে অসংখ্য ভেষজ গুণ। হৃদযন্তের সুরক্ষা, চর্বি কমাতে, মেদ বৃদ্ধিতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে, শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই চা অনেক কার্যকরী। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক গবেষণাশ দেখা গিয়েছে, মুটিয়ে যাওয়ার কারণে যকৃতের যেসব সমস্যা দেখা যায়, সে সব প্রতিরোধে নীল চা বেশ কার্যকর। নীল চায়ে থিয়ানাইন থাকায় নিয়মিত যদি কোনো ব্যক্তি এই চা খায়, তাহলে তার মেটাবলিজম ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। দিনে যদি দুইবার এই চা খাওয়া হয়, তাহলে শরীরের হেপাটিক মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং কোলেস্টেরল কমে যায়।

তা ছাড়া বিভিন্ন ধরণের হতাশা বা মানসিক অবসাদ, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, ক্যানসার প্রতিরোধের পাশাপাশি স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং লিভার সুরক্ষায় নিয়মিত ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন এই চা কে। নিজের বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন, অপরাজিতার এই চা৷ তার জন্য প্রথমে আপনি সসপ্যানে ৪ কাপ পানি নিয়ে নিবেন। 

এই পানি কে ফুটাবেন, ফুটানোর পরে ২ টি এলাচ, এক টুকরো আদা, ছোট আকারের দুইটি দারুচিনি ও ৭ টি অপরাজিতা ফুল পানিতে দিয়ে দিন। ফুল দেওয়ার আগে ফুলের নিচের সবুজ অংশ টুকু ফেলে দিবেন। সাত মিনিট পানি ফুটিয়ে নিবেন, ঢাকনা ব্যবহার করে। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে চা। মধু মিশিয়ে এটি পরিবেশন করতে পারেন।

অপরাজিতা কি ঔষধি গাছ

অপরাজিতা গাছ হলো একটি ভেষজ ঔষধি গাছ। গাছ হিসেবে যেমন বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধন করে থাকে ঠিল তেমনি শরীরে সকল ঔষধি গুণ গুলোও ঠিক রাখে। প্রচীন কাল থেকেই এটি ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। চোখে সংক্রমণ, উন্নত চুল ও ত্বকের পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ প্রদান করে থাকে শরীরে অনাক্রম্যতা শক্তিশালী করে। নীল অপরাজিতার গবেষণার মাধ্যমে ডায়াবেটিস, গ্লুকোমা, ছানি ও অন্যান্য চোখের সমস্যা সম্পর্কিত ধরুন অধঃপতনের বিরুদ্ধে কাজ করে।

নীল অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা

শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি হলো নীল অপরাজিতা। নীল চা বা ব্লু টি নামে পরিচিত সম্পূর্ণ ক্যাফেইন মুক্ত হারবাল এই চা তৈরি হয় নীল অপরাজিতা ফুল থেকে। এই চায়ে থাকা পলিফেনলস ও ফ্লাভোনয়েড যৌগ লিভার এনজাইমের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
নীল- অপরাজিতার - উপকারিতা
যার ফলে লিভারের সুরক্ষায় অসাধারণ ভুমিকা পালন করে এই চা। চঞ্চলতা ও হতাশা কাটানোর এক দারুণ ঔষুধ অপরাজিতার চা। অপরাজিতা ফুল নীল ছাড়াও সাদা, হালকা বেগুনী, হলুদ ও লাল রংয়ের হয়। গাঢ় নীল অপরাজিতা ফুল কে নীল কন্ঠ ফুল নামে অনেকে চিনে থাকেন।

অপরাজিতা পাতার উপকারিতা

অপরাজিতা পাতার উল্লেখ যোগ্য তেমন কোনো উপকারিতা নেই। এটির চা বেশ উপকারী। অপরাজিতা ফুলে বেশ ঔষধি গুণ রয়েছে। অপরাজিতা ফুল দিয়ে তৈরি করা হয় চা। আর এই চা খেলে পাওয়া যায় অনপক উপকারিতা। এই অপরাজিতা ফুলের চা, যদি কেউ নিয়মিত খেয়ে থাকে, তাহলে অনেক উপকার পেয়ে থাকে।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে অপরাজিতা গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। অপরাজিতা শোভা বর্ধণকারী পাশাপাশি এটি একটি স্বাস্থ্য উপকারী গাছ। তাই এই গাছটি আপনার বাড়ির আশে পাশে লাগাতে পারেন। আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মতামত জানাবেন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ। 32353

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url