জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার

জ্বর ঠোসা হলে আমাদের করণীয়জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। সাধারণত আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই এই ধরনের সমস্যা গুলো লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ঠান্ডা লাগলে ঠোঁটের উপরে জ্বর ঠোসা বেশি দেখা যায়।

জ্বর-ঠোসার-কারণ-ও-প্রতিকার

যদি আপনার ঘন ঘন এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার উচিত জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া এবং এর চিকিৎসা ব্যবস্থা করা। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সূচিপত্রঃ জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার

জ্বর ঠোসা হওয়ার কারণ কি

জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই জ্বর ঠোসা হয়ে থাকে। কিন্তু কেন এ ধরনের সমস্যা গুলো হয় সাধারণত এ বিষয়ে আমাদের একেবারেই ধারণা নেই। যে কোন সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদেরকে প্রথমে সেই সমস্যাটি কেন হয় তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আপনার ক্ষেত্রে যদি জ্বর ঠোসা অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে এবং আপনি এখান থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রথমে এই সমস্যা হওয়ার কারণ জেনে নিন।

  • আপনারা যারা জানেন না তাদের জানা সুবিধার্থে বলে রাখি জ্বর ঠোসা একটি ছোঁয়াচে রোগ। সাধারণত এই রোগ হার্পিস সিমপ্লেক্স নামক এক ধরনের ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত এই ভাইরাসটি আমাদের শরীরে অনেকভাবে প্রবেশ করে।
  • আমাদের মধ্যে কোন সুস্থ ব্যক্তি যদি জ্বর ঠোসায় আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি যায় অথবা তার মুখের লালা স্পর্শ করে তাহলে সুস্থ ব্যক্তির এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
  • জ্বর ঠোসা হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় শরীরে পুষ্টিহীনতাকে। আমাদের শরীরে যদি পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে এ ধরনের সমস্যা গুলো বেশি হয়ে থাকে।
  • আমাদের শরীরে যখন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখাতেই সাধারণত তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে এ রোগে আক্রান্ত ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে। এই কারণেই এই রোগ হয়ে থাকে।

জ্বর ঠোসা প্রতিকারের উপায়

জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে যেহেতু আলোচনা করছি সেহেতু আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের এই মুহূর্তে জ্বর ঠোসা প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জানাবো। এই রোগ হলে সাধারণত আমরা তেমন কোন মাথা ব্যথা করি না। কারণ আমরা জানি যে কিছুদিনের মধ্যে এই রোগ নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায় তাই প্রতিকারের উপায় হল জানার প্রয়োজন নেই। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘ সময় লাগে তাই প্রতিকারের উপায় গুলো আমাদের জেনে রাখা উচিত।

  • আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে জ্বরঠোসা হল এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। তাই কোন ব্যক্তি যদি সংক্রমিত হয়ে থাকে তাহলে ওই ব্যক্তির ব্যবহার করা কোন বস্তু সুস্থ ঘন ব্যক্তির ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির খাবার খাওয়া কোন জিনিস সুস্থ রাখতে হওয়া উচিত নয়। সাধারণত এই রোগের ভাইরাস সেই ব্যক্তির মুখের লালা দ্বারা সুস্থ রাখতে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
  • যদি সত্য বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই রোগ হয়ে থাকে তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যাতে কখনো চুমু দেওয়া যাবে না।
  • আমরা যেতে আক্রান্ত রক্তের ঠোঁট স্পর্শ করে থাকি তাহলে আমাদের উচিত সাথে সাথেই সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নেওয়া। না হলে এই রোগের ভাইরাস আমাদের হাতের মাধ্যমে শরীরে যেতে পারে।

জ্বর ঠোসা দূর করার সহজ উপায়

জ্বর ঠোসা দূর করার সহজ উপায় চলুন জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ জ্বর ঠোসাকে তেমন কোনো জটিল রোগ মনে করে না। সাধারণত এই রোগ হলে আমরা তেমন গুরুত্ব দেয় না সাধারণত মনে করে থাকি যে নিজে থেকেই কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে। তবে এই রোগ সমাধানের বেশ কিছু উপায় রয়েছে সাধারণত আমাদেরকে সেই উপায়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। জ্বর ঠোসা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু উপায় উল্লেখ করা হলো।

  • এন্টিভাইরাস ক্রিম ব্যবহার করা
  • নারিকেলের তেল ব্যবহার করা
  • মধু ব্যবহার করা
  • বরফ ব্যবহার করা
  • পানি শূন্যতা দূর করা
  • রোদ থেকে সুরক্ষা
  • পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার

এন্টিভাইরাস ক্রিম ব্যবহার করা -- আমরা খুব ভালোভাবেই জানি যে জ্বর ঠোসা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। তাই এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদেরকে প্রথমে এন্টিভাইরাস ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিভাইরাস ক্রিম পাওয়া যায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

নারিকেলের তেল ব্যবহার করা -- নারিকেলের তেল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আপনি যদি জ্বর ঠোসা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চান তাহলে আপনার উচিত নারিকেলের তেল ব্যবহার করা। বিশেষ করে যেখানে এই সমস্যা হয়েছে সেখানে বেশি পরিমাণে নারিকেলের তেল ব্যবহার করা।

মধু ব্যবহার করা -- জ্বর ঠোসা ব্যবহার করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেটি হল মধু। আমরা যদি দ্রুত এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে চায় তাহলে আমাদেরকে মধু ব্যবহার করতে হবে যেখানে জর ঠোসা হয়েছে সেই স্থানে।

বরফ ব্যবহার করা -- অনেক সময় জ্বর ঠোসা হওয়ার স্থানটি প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে। ব্যথা কমানোর জন্য কোন ধরনের ওষুধ না খেয়ে আপনি কিন্তু ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কমাতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে ব্যথা কমানোর জন্য আক্রান্ত স্থানে বরফ ব্যবহার করতে হবে।

পানি শূন্যতা দূর করা -- আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে এবং শরীরে যদি পানি শূন্যতা দেখা দেয় তাহলে এই ধরনের সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে হলে আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

রোদ থেকে সুরক্ষা -- মুখের যে স্থানে জ্বর ঠোসা হয়েছে সেখানে যদি রোদের তাপ লাগে তাহলে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই আমরা যদি এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে আমাদেরকে রোদ থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার -- এই সমস্যা থেকে দ্রুত সমাধান পাওয়ার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে সেটি হল পেট্রোলিয়াম জেলি। উপরোক্ত স্থানে আমরা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারি যার ফলে জায়গাটা অনেক নরম থাকবে এবং সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবে।

জ্বর ঠোসা দূর করার ঔষধ

জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে কোন ধরনের সমাধান পাওয়ার না যায় তাহলে আমরা ঔষধ সেবন করতে পারি। তবে যেগুলো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদেরকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ সেবন করা অথবা ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই নিজেদের সুবিধার্থে জ্বর ঠোসা থেকে মুক্তি পাওয়ার ওষুধ সম্পর্কে জানুন।

জ্বর-ঠোসা-দূর-করার-ঔষধ

জ্বর ঠোসা রোগের চিকিৎসা করতে হলে অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের ক্রিম রয়েছে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিম গুলো জ্বর ঠোসা দ্রুততার সাথে ভালো করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। দিনে কয়েকবার এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে এবং কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত দিন নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার করার আগে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সাধারণত এই বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

  • ভাইরাক্স
  • সিমপ্লোভির
  • ভাইরক্সি
  • নোভাইরাক্স
  • অ্যাসেরাক্স
  • ভাইরুনিল

জ্বর ঠোসা কোথায় বেশি হয়

জ্বর ঠোসা কোথায় বেশি হয়? আমরা সবাই এই বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানি। আজকে যেহেতু আমরা জ্বর ঠোসা নিয়ে আলোচনা করছি সেহেতু প্রথমেই জেনে নেব যে শরীরের কোন স্থানে এই সমস্যাটি বেশি হতে পারে। আপনাদের সুবিধার্থে বলে দিতে চাই যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে কিন্তু সবচাইতে বেশি দেখা যায় আমাদের ঠোঁটে। আমাদের ঠোঁটের ওপরে অথবা ঠোঁটের কোনায় জ্বর ঠোসা সবচাইতে বেশি হতে দেখা যায়। আশা করি জানতে পেরেছেন যে কোথায় এ ধরনের সমস্যা গুলো বেশি হয়ে থাকে।

জ্বর ঠোসা সারতে কতদিন সময় লাগে

জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে ইতিমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা যদি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে। তাই আমাদের প্রধান কাজ হবে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে জ্বর ঠোসা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যাবে।

যদি কোনো কারণে ভালো না হয় তাহলে আমরা বেশ কিছু ওষুধের নাম উল্লেখ করেছি এই ওষুধগুলো চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া অতিরিক্ত ব্যথা হলে ব্যথা কমানোর বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে এগুলো খেতে পারেন। তবে যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে আমাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে না হলে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই জ্বর ঠোসা ভালো হয়ে যেতে পারে।

জ্বর ঠোসা হলে কি করতে হবে

জ্বর ঠোসা হলে কি করতে হবে? অনেকেই এই ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। বিশেষ করে যাদের এই ধরনের সমস্যা গুলো বেশি হয়ে থাকে তারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। জ্বর ঠোসা হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে সাধারণত এই কারণগুলো জেনে আমাদেরকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হবে। যেহেতু এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অবশ্যই নিজেকে দূরে রাখতে হবে। তাছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার কারণে এই সমস্যাগুলো বেশি হয়ে থাকে।

আপনি যদি দ্রুত এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হলে যে সকল উপাদান খাওয়া প্রয়োজন সেই খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে না পারলে কখনো এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। এটি ছোঁয়াচে রোগ তাই সহজে ব্যক্তিদের কোন কিছু ব্যবহার করা যাবে না।

জ্বর ঠোসা হলে আমাদের করণীয়

জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার আলোচনা করা হয়েছে। সাধারণত এগুলোই হল আমাদের করণীয়। আমরা যদি এই করণীয় গুলো অনুসরণ করতে পারি তাহলে খুব সহজেই নিজেকে এই রোগ থেকে মুক্ত করতে পারব। যেহেতু আজকের এই আর্টিকেলে জ্বর ঠোসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে সেও তো আমরা এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের করণীয় সম্পর্ক বিস্তারিত জেনে নেব। বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে সাধারণত এগুলো করনীয় হিসেবে অনুসরণ করতে হবে।

জ্বর-ঠোসা-হলে-আমাদের-করণীয়

  • যদি কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তার প্রথম করণীয় হলো অন্য কেউ যেন এই রোগে আক্রান্ত না হয় এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখা।
  • তাই রোগীর ব্যবহার করা কোন জিনিস অন্য কেউ ব্যবহার করতে না পারে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে বিশেষ করে রোগীকে।
  • দ্রুত সমাধানের জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ইতি মধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে সাধারণত এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করতে হবে।
  • বেশ কিছু মলম রয়েছে সাধারণত এই মলম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা যায়।

জ্বর ঠোসা থেকে মুক্তির উপায়

জ্বর ঠোসা থেকে মুক্তির উপায় আমরা অনেকেই জানিনা। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে প্রথমে আমাদেরকে এই রোগের কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা বেশিরভাগ মানুষ রোগের কারণ সম্পর্কে জানি না যার ফলে সে রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পেতে হয় এই বিষয়টি সম্পর্কেও বুঝতে পারি না। তাই যেকোন রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে প্রথমেই সেই রোগে কেন আক্রান্ত হয়েছে তার কারণ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং ভাইরাস জনিত সমস্যা।

আমরা যদি এই রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারি তাহলে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে এগুলো অনুসরণ করতে পারি। বিশেষ করে সরিষার তেল সবসময় আক্রান্ত স্থানে দিয়ে রাখা এতে করে জীবাণু ছড়াতে পারবে না। তাছাড়া আরও কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে এগুলো ব্যবহার করা যার ফলে দ্রুত এই রোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারব।

লেখকের শেষ মন্তব্য

জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি অথবা আপনার পরিবারের কোনো সদস্য যদি এই রোগে ঘন আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত ভাবে এই রোগ সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। আপনারা আমাদের আর্টিকেল থেকে জ্বর ঠোসা রোগের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর এই বিষয় গুলো জানতে হলে আপনাকে আমাদের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেল থেকে জ্বর ঠোসা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। 20791

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url