সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত

সালাতুল হাজত নামাজের পর দোয়াসালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আমাদের যখন কোন কিছুর প্রয়োজন হয় সাধারণত তখন আল্লাহ তাআলার কাছে সেই জিনিস চাওয়ার জন্য যে নামাজ পড়া হয় তাকেই সালাতুল হাজত নামাজ বলা হয়।

সালাতুল-হাজত-এর-নিয়ম-ও-ফজিলত

আজকের এই আর্টিকেলে সালাতুল হাজত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনি যদি সালাতুল হাজত সম্পর্কে শুনে থাকেন এবং সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত জানা না থাকে তাহলে আমাদের এই আর্টিকেল আপনার জন্যই।

পেজ সূচিপত্রঃ সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত

সালাতুল হাজত অর্থ এবং নিয়ম

সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা করা হবে। সাধারণত নামাজ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরেও বেশ কিছু নামাজ রয়েছে যেগুলো নামাজ সুন্নত এবং নফল। আল্লাহুতালাকে খুশি করার জন্য অথবা নিজের প্রয়োজন আল্লাহতালাকে জানানোর জন্য এই নামাজ গুলো আদায় করা হয়ে থাকে। সালাত অর্থ নামাজ এবং হাজত অর্থ প্রয়োজন। সালাতুল হাজত এর মূল অর্থ হলো প্রয়োজনের মুহূর্তের নামাজ।

ইসলামী পরিভাষায় কোন বান্দা যদি কোন বিপদের মধ্যে পড়ে এবং সেই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহতালার দরবারে নামাজ পড়ে এবং প্রার্থনা করে সাধারণত সেই নামাজকেই সালাতুল হাজত বলা হয়। সালাতুল হাজতের নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। সাধারণত অন্যান্য নফল নামাজগুলো আমরা যেভাবে আদায় করি ঠিক একই রকম হাজত বা প্রয়োজনের নিয়তে নফল নামাজের মত দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়।

স্বাভাবিক নামাজের মত আমরা যেভাবে উত্তম অজু করি সেভাবেই অজু করতে হবে। এরপরে নিয়ত করতে হবে দুই রাকাত নফল নামাজের। নামাজ শেষ করার পরে আল্লাহ তায়ালার হামদ ও ছানা এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ পড়তে হবে এবং নিজের মনের ইচ্ছা গুলো আল্লাহ তায়ালাকে বলে নামাজ শেষ করতে হবে। আপনি যদি চান দুই রাকাতের বেশি নামাজ পড়তে তাহলে পড়তে পারেন।

সালাতুল হাজত সুন্নাত না নফল

সালাতুল হাজত সুন্নত না নফল? এ বিষয়টি নিয়ে অনেকের মাঝে মতবিভেদ রয়েছে। আপনারা অনেকেই আছেন যারা সালাতুল হাজত সুন্নত না নফল এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে থাকেন। ইতিমধ্যে এই নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যারা সালাতুল হাজত সুন্নত না নফল এ বিষয়ে জানতে চান তারা আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। কারণ আমরা যে নামাজ আদায় করছি সেই নামাজ কোন ধরনের ইবাদত অবশ্যই আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে।

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ। এই নামাজে আমরা আল্লাহর কাছে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে থাকি। বিপদ থেকে উদ্ধারকারী একমাত্র আল্লাহ তা'আলা তিনি ছাড়া কারোর ক্ষমতা নেই আমাদের বিপদ-আপদের মুখ থেকে রক্ষা করার। তাই আমরা আমাদের বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে এবং কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে সালাতুল হাজত নফল নামাজটি আদায় করব ইনশাল্লাহ। বিশেষ করে কোন হালাল চাহিদা পূরণের জন্য আল্লাহ তায়ালার দরবারে দুই রাকাত নামাজ পড়ে দোয়া করা নফল ইবাদত এটি।

সালাতুল হাজত নামাজ কত রাকাত 

সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত জানার পাশাপাশি এই নামাজ কত রাকাত পড়তে হয়? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কেও ধারণা রাখতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ। মানুষ যখন বিপদে পড়ে এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা চাই তখন এই নামাজ আদায় করে। যেহেতু এটি একটি নফল ইবাদত তাই আপনি যত খুশি তত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবেন। নফল ইবাদতের কোন ধরা বাধা নির্দিষ্ট রাকাত নেই।

আরো পড়ুনঃ অপরাজিতা গাছের উপকারিতা

ইসলাম সব পরিস্থিতিতেও মানুষকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে। যা নামাজের মাধ্যমে বান্দা অর্জন করতে পারবে। এ নামাজকে সালাতুল হাজত বা প্রয়োজনের মুহূর্তের নামাজ বলা হয়। বান্দার বিশেষ কোনো প্রয়োজন এবং শারীরিক মানসিক বিভিন্ন সমস্যার দেখা দিলে এই নামাজটি পড়তে হয়। এই নামাজের সঠিক কোন রাকাত নেই আপনি চাইলেই উত্তম রূপে অজু করে দুই রাকাত অথবা চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। যদি আপনি এর চাইতেও বেশি পড়তে চান তাহলে পড়তে পারবেন।

সালাতুল হাজত নামাজের সময়

সালাতুল হাজত নামাজের সময় আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের মনের কোন ইচ্ছা থাকলে এবং সেই ইচ্ছা যদি আমরা আল্লাহ তাআলার কাছে বলতে চাই তাহলে নামাজের উসিলাতে বলতে পারি। সাধারণত তাই এই নামাজকে প্রয়োজনের নামাজ বলা হয়ে থাকে। আপনি যত খুশি তত রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখন বিষয় হচ্ছে যে সালাতুল হাজতের নামাজ কখন আদায় করতে হবে? এই নামাজের কি নির্দিষ্ট কোন সময় রয়েছে?

সালাতুল-হাজত-নামাজ-কত-রাকাত

সালাতুল হাজত একটি নফল নামাজ। এই নামাজের কোন সময় নির্ধারণ করা নেই। আপনি যখন ইচ্ছা তখনই এ নামাজটি পড়তে পারেন তবে সূর্য উদয় এবং সূর্য অস্ত এই সময়টি নিষিদ্ধ। বিভিন্ন হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যখনই বিপদে পড়তেন তখনই সালাতুল হাজত নামাজের দাঁড়িয়ে যেতেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে মনের সকল চাওয়া পাওয়া সালাতুল হাজত এর মাধ্যমে প্রকাশ করতেন। তবে অনেকের মতে সালাতুল হাজত পড়ার উত্তম সময় হচ্ছে এশার নামাজের পরে, ঘুমের আগে এবং  তাহাজ্জত সময়।

সালাতুল হাজতের নিয়ত

সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত জানার পাশাপাশি এই নামাজের নিয়ত সম্পর্কে ও জানতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা রয়েছে যে নামাজ পড়তে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আরবীতে নিয়োগ করতে হবে। বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। আপনি কোন নিয়তে নামাজ পড়ছেন সাধারণত এই বিষয়টি মহান আল্লাহতালা খুব ভালোভাবেই জানে। সেটা আপনি আরবিতে বলেন অথবা বাংলাতে বলেন এতে কোন সমস্যা নেই। আরবিতে না বলে যদি আপনি বাংলাতে বলেন তাহলে আল্লাহ তা'আলা জানতে পারবে।

আরবি উচ্চারণঃ নাওয়াইতু আন উসালিলয়া লিল্লাহি তা 'আলা আরবা আ রাকা আতাই সালাতুল হাজত সালাতি নাফলি রাসূলুল্লাহি তা' আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।

নিয়ত হল ইচ্ছা পোষণ করা। যেকোনো জিনিস করার উদ্দেশ্যে আমরা যখন ইচ্ছা পোষণ করে থাকি, তখনই সেটা নিয়ত হয়। তেমনি আমরা যেমন নামাজ পড়ার পূর্বে সে নামাজ পড়বো এবং সে নামাজ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করবো তখনই সেটা নিয়ত হয়ে যাবে। তাই আপনি চাইলে উচ্চারণ করে অথবা মনে মনে নিয়ত করতে পারেন। নিয়ত হচ্ছে অন্তরের বিষয়। আর আল্লাহ তায়ালা হলো অন্তর্যামী আমাদের অন্তরের মধ্যে কি চলমান রয়েছে সেটি তিনি ভালভাবেই জানেন।

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম

সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নামাজ পড়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি যে সালাতুল হাজত হলো নফল ইবাদত। আল্লাহতালার কোন বান্দা যখন বিপদে পড়ে তখন আল্লাহ তাকে স্মরণ করার জন্য এই নামাজ আদায় করে। এই নামাজের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের মনের ইচ্ছা হলো বলে থাকি। তাহলে কিভাবে এই নফল সালাতুল হাজত নামাজ পড়তে হয় বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন।

আরো পড়ুনঃ জ্বর ঠোসার কারণ ও প্রতিকার

অন্যান্য নামাজের মতই একই ভাবে সালাতুল হাজত নামাজের নিয়ম। প্রথমে উত্তম রূপে অজু করে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে সালাতুল হাজত এর নিয়তে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে। আপনি চাইলে দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত নামাজ ও আদায় করতে পারেন।এরপর রাসুল সাঃ এর উপর দরূদ সালামের পর এই দোয়াটি পড়তে হবে।

আরবিঃ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ أَسْأَلُكَ مُوجِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَعَزَائِمَ مَغْفِرَتِكَ وَالْغَنِيمَةَ مِنْ كُلِّ بِرٍّ وَالسَّلاَمَةَ مِنْ كُلِّ إِثْمٍ لاَ تَدَعْ لِي ذَنْبًا إِلاَّ غَفَرْتَهُ وَلاَ هَمًّا إِلاَّ فَرَّجْتَهُ وَلاَ حَاجَةً هِيَ لَكَ رِضًا إِلاَّ قَضَيْتَهَا يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ

উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হা-জাতান হিয়া লাকা রিজান- ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর-হামার রা-হিমিন।

অর্থঃ আল্লাহ্ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অতি সহিষ্ণু ও দয়ালু, সব দোষ-ক্রটি থেকে পবিত্র তিনি। মহান আরশের প্রভু। সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি সারা জাহানের রব। আপনার কাছেই আমি যাঞ্ছা করি আপনার রহমত আকর্ষণকারী সকল পূণ্যকর্মের অসিলায়, আপনার ক্ষমা ও মাগফিরাত আকর্ষণকারী সকল কাজের বরকত, সকল নেক আমলে সাফল্য লাভের এবং সব ধরনের গুনাহ থেকে নিরাপত্তা লাভের। আমার কোনো গুনাহ যেন মাফ ছাড়া না থাকে। কোনো সমস্যা যেন সমাধান ছাড়া না রয়ে যায়। আর আমার এমন প্রয়োজন যাতে রয়েছে আপনার সন্তুষ্টি রয়েছে, তা যেন অপূরণ না থাকে। হে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। {তিরমিজি, হাদিসঃ ৪৭৯}

সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত

সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আমরা ইতিমধ্যেই এই নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয় সাধারণত এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ সালাতুল হাজত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জানেনা। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। হজরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, "রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রয়োজন বা বিষয় (বিপদ-আপদ) চলে আসতো, তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।" {আবু দাউদ}

নামাজ ও দরূদ পাঠের বরকত ও ফজিলতে মহান আল্লাহ মানুষের যে কোনো বিপদ দূর করে দিতে পারেন। সে কারণেই বিপদের সময় উত্তম ভাবে অজু করে হাজত পূরণের নিয়তে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের করণীয়। বিপদ থেকে উদ্ধারকারী একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। কারণ তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা তিনি ছাড়া আমাদের অন্য ইলাহ নেই তিনি আমাদের পালনকারী এবং রক্ষাকারী।

তাই প্রত্যেকেরই আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য সালাতুল হাজ্জাতের নিয়তে আল্লাহতালার কাছে প্রার্থনা করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তির আল্লাহর কাছে বা মানুষের কাছে কোনো প্রয়োজন দেখা দেয়, সে যেন উত্তমরূপে অজু করে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে এবং ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করে।" {তিরমিজি}

সালাতুল হাজত নামাজের নিষিদ্ধ সময়

সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত জানতে হলে কোন সময় এই নামাজ আদায় করা যাবে না অর্থাৎ নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কেও আমাদেরকে ধারণা রাখতে হবে। প্রতিবার ফরজ নামাজ আদায় করার সময় আমরা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে আমাদেরকে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া গুলো করে থাকি। তবে আল্লাহ তাআলার কাছে বিশেষ ভাবে বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যেই নামাজ রয়েছে তাকে সালাতুল হাজত বলা হয়। সালাতুল হাজত নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতীত যে কোন সময় নামাজ আদায় করা যায়। তাই নামাজের নিষিদ্ধ সময় গুলোতে এই নামাজ আদায় করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

সালাতুল হাজত নামাজের পর দোয়া

সালাতুল হাজত নামাজের পর দোয়া কিভাবে করতে হবে? সাধারণত এই বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আল্লাহ তাআলার কাছে আপনার বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে চান তাহলে আপনার জন্য আমাদের আর্টিকেল। আমরা যে নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি ঠিক একই নিয়মে অজু করে পাক পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। শুধু আমাদের মনের ভেতরের নিয়ত থাকতে হবে সালাতুল হাজতের। এরপরে নিচের এই দোয়া পাঠ করতে হবে।

সালাতুল-হাজত-নামাজের-পর-দোয়া

আরবিঃ اَللَّهُمَّ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ-

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা আযা-বান্না-র।

আরো পড়ুনঃ অশ্বগন্ধা গুড়া খাওয়ার নিয়ম - অশ্বগন্ধার স্বাদ কেমন 

অর্থঃ হে আল্লাহ! হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের দুনিয়াতে মঙ্গল দিন এবং আখেরাতেও মঙ্গল দিন। জাহান্নামের আজাব থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

আমাদের শেষ কথা

সালাতুল হাজত এর নিয়ম ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা শুরু করে বিস্তারিত ভাবে এই নামাজ নিয়ে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে প্রায় সবগুলোই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি অতিমাত্রায় বিপদের মধ্যে থাকেন এবং এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে জানতাম না আপনার উচিত সালাতুল হাজত নামাজ কিভাবে আদায় করতে হয়? কখন আদায় করতে হয় এবং নামাজের পরে কোন দোয়া পড়তে হয়? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জেনে নেওয়া।

এতক্ষন আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আড্ডাভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url